গত বছর দু’বার কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তার উপর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। মাঝে একটি জটিল অস্ত্রোপচারও হয়েছিল তাঁর। সেই সঙ্গে দেখা দেয় লিভারের সমস্যা। সব মিলিয়ে এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যে তিন তিনবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। তবে সব আঁধারের পরই ভোর আসে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন অঞ্জনা। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে তার জীবন। শারীরিক দুর্বলতা পুরোপুরি কাটেনি, তবুও মনের জোরে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের চেনা জগতে ফিরছেন ‘পিলু’-র মণিমা।
advertisement
আরও পড়ুন: বিস্ফোরক জয়জিতের পাল্টা পোস্ট, লিখলেন, ‘সরকারি সম্পত্তির সমালোচনা করলেই তাঁদের জ্বলে’
আরও পড়ুন: পাকা হয়ে গেল পরিণীতি-রাঘবের বাগদানের দিনক্ষণ? রাজনীতি-বিনোদনের গাঁটছড়া কি শীঘ্রই
নিউজ18 বাংলাকে অঞ্জনা জানান, ‘‘গত বছর আমার দু’বার করোনা হয়েছিল। প্রথমবার জানুয়ারিতে। দ্বিতীয়বার জুন মাসে। দ্বিতীয়বারের করোনা এতটাই মারাত্মক ছিল যে আমার শরীর সব দিক দিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। সব সময় নানা কাজে ব্যস্ত মানুষ আমি, উঠে দাঁড়াতে পারছিলাম না। এরই মধ্যে ধরা পড়ে ডেঙ্গু। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। আসলে আমার একটি জটিল অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। দিনে প্রায় ১৩টি ট্যাবলেট খেতে হত। শ্যুটিং তো দুরস্ত। কোনও কাজ করার মতো শারীরিক জোর ছিল না। এত সব অসুস্থতার মাঝে হঠাৎই লিভারের সমস্যা দেখা দিল। কলকাতা, দিল্লি, সব জায়গায় দীর্ঘদিন আমার চিকিৎসা চলল। প্রায় এক বছর অসুস্থ ছিলাম আমি। তবে কখনওই মনের জোর হারাইনি। দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, আজ নয়তো কাল সুস্থ হয়ে উঠব। আবার কাজে ফিরব। আমার মোবাইল ফোন প্রায় চার মাস বন্ধ ছিল। এক বছর কোনও কাজ তো করিইনি। বরং অনেক কাজের অফার ফিরিয়ে দিয়েছি। আমি যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়ায় একদমই সক্রিয় নই, তাই এই দীর্ঘ অসুস্থতার খবর সেভাবে কেউ জানতেও পারেনি। তবে এই মুহূর্তে পুরোপুরি না হলেও অনেকটাই সুস্থ আমি। তাই মনকে শক্ত রেখে এ মাস থেকে আবার নতুন ধারাবাহিকের কাজে ফিরছি।’’
ছোটপর্দা হোক কিংবা বড়পর্দা, নিজের অনবদ্য অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে অঞ্জনা দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। এই একটা বছর তাঁর অনুরাগীরা তাঁকে চোখে হারিয়েছেন। তবে শেষ ভাল যার সব ভাল। অসুস্থতা কাটিয়ে অঞ্জনা বসু ফ্লোরে ফিরছেন, এটাই আসার আলো। এই মাস থেকেই একটি ধারাবাহিকের কাজ করতে চলেছেন অভিনেত্রী। গুরুত্বপূর্ণ এক মায়ের চরিত্র। মা ও ছেলের সম্পর্ক নিয়ে এগোবে সিরিয়ালের গল্প। জীবনকে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনাই এখন সবথোকে বড় চ্যালেঞ্জ অঞ্জনার কাছে।