প্রযোজক রানা সরকারের এক পোস্টের প্রেক্ষিতে পরিচালক-অভিনেতা তথা গায়ক-গীতিকার-সুরকারের এই মন্তব্য ৷ বৃহস্পতিবার রানা একটি পোস্ট করেন ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’ ছবির এক দশক উপলক্ষে ৷ অঞ্জন দত্ত পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১১ সালের ২৪ জুন ৷ প্রযোজক ছিলেন রানা সরকার, নিজে ৷ ছবি মুক্তির এক দশক উপলক্ষে সেটির পোস্টারের ছবি শেয়ার করেছিলেন রানা ৷
advertisement
বহু নেটিজেন ছবিটি ঘিরে ফিরে গিয়েছেন অতীতে ৷ নস্টালজিক হয়ে মন্তব্য বাক্সে স্মৃতিচারণ করেছেন ৷ সেখানেই অঞ্জন লিখেছেন এই ছবিতে সুপ্রিয় দত্তর জাতীয় পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল ৷ ছবিতে সিনেম্যাটোগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন সুপ্রিয় ৷ উত্তরে নেটিজেন লিখেছেন, এ ছবিতে অভিনয়ের জন্য অঞ্জনেরও জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্য ছিল ৷
তার পরই অঞ্জন লেখেন, নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের ‘শিল্পী’ এবং অপর্ণা সেনের ‘যুগান্ত’-র পর তিনি অভিনেতা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন ৷
প্রসঙ্গত ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’ ছবিটি তিনটি বিভাগে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল ৷ সেরা সঙ্গীত পরিচালক, সেরা বাংলা ছবি এবং পরিচালক অঞ্জনকে বিশেষ জুরি পুরস্কার ৷ প্রসঙ্গত ‘যুগান্ত’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হন পরিচালক অপর্ণা সেন ৷ ছবিতে অঞ্জনের বিপরীতে ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ৷ নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের পরিচলনায় ‘শিল্পী’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৪ সালে ৷ অঞ্জনের পাশাপাশি ছবির বাকি উল্লেখযোগ্য কুশীলব হলেন মেঘনাদ ভট্টাচার্য এবং ঋতা দত্ত চক্রবর্তী ৷
‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’ ছবি ঘিরে স্মৃতিমেদুর ঊষসীও ৷ জুন আন্টি মন্তব্যে লিখেছেন, ‘‘এর একটা সিক্যুয়েল হয়ে যাক৷ আমি আবারও দীপান্বিতা হতে চাই৷’’ নেটিজেনরা সহমত হয়ে লিখেছেন, ছবিতে রঞ্জনার অভিনয় ভোলার নয় ৷