এবার বিশেষ অতিথি হিসেবে মুম্বই থেকে উপস্থিত হয়েছেন সলমন খান, অনিল কাপুর, সোনাক্ষী সিনহা, শত্রুঘ্ন সিনহা, মহেশ ভাট, তিগমাংশু ধুলিয়া-সহ আরও অনেকে। অনিলকে সংবর্ধনা দিলেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এ বছরের থিম ‘বিশ্ব সিনেমার বঙ্গ ভ্রমণ’।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ছবির উৎসবে সাবিত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সলমনের, হাত মিলিয়ে শ্রদ্ধা বলি তারকার
advertisement
‘এভারগ্রিন’ অনিল কাপুর মঞ্চে উঠে হিন্দি, ইংরেজি এবং ভাঙা ভাঙা বাংলায় বললেন, ‘‘কলকাতা আমার জন্য শুধু শহর নয়, আমার ফিল্ম জীবন কলকাতা থেকে শুরু হয়। ৪৩ বছর আগে কলকাতাতেই সূত্রপাত। ১৯৭৯ সালে আমি মুম্বই থেকে কলকাতার ট্রেন ধরে হাওড়ায় আসি, তারপর বাসে করে বালিগঞ্জের একটি গেস্ট হাউসে থাকি। আমার প্রথম ছবি কলকাতাতে শ্যুট হয়। রাজ্য সরকার ফান্ড করে আমার ছবির জন্য। পরবর্তী ৪৫ দিন আমার বাড়ি ছিল সেই গেস্ট হাউস। কলকাতার নানা জায়গা ছিল আমার খেলার মাঠ।’’
মৃণাল সেন, তরুণ মজুমদার, ঋতুপর্ণ ঘোষ, কিশোর কুমার, জয়া ভাদুরী বচ্চন, অপর্ণা সেন, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তী, সলিল চৌধুরী, হেমন্ত কুমার, ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়, বাপ্পি লাহিড়ি, সুচিত্রা সেনের মতো কিংবদন্তি বাঙালি শিল্পীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন মিস্টার ইন্ডিয়া। বিশেষ সম্মান জানালেন উত্তম কুমারকে।
অনিলের কথায়, ‘‘নায়ক নামে একটি ছবি আছে আমার। আমি সেখানে নায়ক ছিলাম। পরে জানতে পারি, বাংলায় সত্যজিৎ রায় পরিচালিত একটি ছবি ছিল, যেটির নামও নায়ক। উত্তম কুমার অভিনয় করেছিলেন। দেখলাম আমি। বুঝলাম, ওই ছবিটা কেবল বাংলার নয়, গোটা বিশ্বের কাছে উপহার। ১৯৬৬ সালের সেই ছবি আজও প্রাসঙ্গিক।’’ শেষে সত্যজিৎ রায়ের প্রতিভা নিয়ে কথা বললেন অনিল।