নব্বইয়ের দশকে অজয়ের মারপিটের সাহসী দৃশ্যগুলির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রোহিত। তিনি বলেন, ” একটা সময় ছিল যখন কাউকে মারতে গিয়েছেন তিনি। আর তাঁর পিছনে রয়েছে একটা গাড়ি। যেটা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করছে। মুম্বইয়ের রাস্তায় যেন ধাওয়া আর পাল্টা-ধাওয়া হচ্ছে।”
অজয়ও স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ” এই ধরনের একাধিক উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু সেগুলি নিয়ে আমি এখন আলোচনা করতে চাই না।”
advertisement
যখন তাঁদের জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁরা কি কখনও কোনও অস্ত্র ব্যবহার করেছেন? রোহিত জানান , কখনও কখনও তাঁদের সোডার বোতলের উপর নির্ভর করতে হয়। রোহিতের কথায়, “আসলে সোডা বোতল ভাল করে ঝাঁকিয়ে ফাটিয়ে দেওয়া হয়।”
রণবীর এলাহাবাদিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় অজয় বলেন, ”আজকের দুনিয়ায় আপনি আধিপত্যশীল পুরুষ ব্যক্তিত্ব দেখতে পাবেন না। সকলেই তো বালক। সেই পুরুষ-পুরুষ ব্যাপারটা নেই। আগের প্রজন্মে বরং আমরা পুরুষালি বিষয়টা দেখতে পেতাম। এমনকী আমার প্রজন্মেও। জ্যাকি শ্রফ থেকে অমিতাভ বচ্চন – সকলের মধ্যেই পুরুষালি ব্যাপারটা ছিল।”
অজয়ের দৃষ্টিভঙ্গি শুনে আরও একটা বিষয় যোগ করেন রোহিত। তাঁর মন্তব্য, ” যখন অক্ষয় কুমার একসঙ্গে দশ জনকে ফেলে মারছেন অথবা সানি দেওল একটা নলকূপ উপড়ে ফেলছেন, তখন সেটা দেখে আমরা হাততালি দিই। কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে, তাঁরা সেটা করতে পারেন। আজকের প্রজন্মে আমরা ভাবি যে, আসলে সেটা কেউই করতে পারবেন না।”
আজকের প্রজন্মের অভিনেতাদের ছেলে-ছেলে লাগার কারণ অজয় ব্যাখ্যা করে বলেন যে, ” আসলে বাচ্চাদের বেড়ে ওঠায় একটা পরিবর্তন এসেছে। সুঠাম সুগঠিত শরীর বানিয়ে কিন্তু পুরুষালি ব্যাপারটা আসে না। আসলে পুরুষদের মধ্যে একটা অ্যাটিটিউড থাকে, যেটা এখন দেখা যায় না।”
ওই আলাপচারিতাতেই অতীতে হকি স্টিক ব্যবহার করার কথাও তুলে ধরেছেন অজয়। সেই সময় রোহিত বলেন, একটা হকি স্টিক নিজের গাড়িতেও রাখতেন অজয়। কিন্তু এখনও কি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন অজয়? এর জবাবে অভিনেতা বলেন, “প্রত্যেকেই শান্ত হয়ে গিয়েছেন। আমিও আর ঝামেলায় জড়াই না। মনে করি যে, সেটা সময়ের অপচয়। আমার মনে হয় যে, অন্যদের আঘাত লাগবে। সেই কারণে ঝামেলা এড়িয়েই চলি।”