খাওয়া দাওয়া করে মায়ের পাশে শুয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। হঠাৎ মাকে জানান, তিনি ডান হাত নাড়াতে পারছেন না। প্রথমে তাঁর মা ভেবেছিলেন, মেয়ে বুঝি মজা করছে। ঐন্দ্রিলার মা নিজে একজন নার্স। মেডিক্যাল পার্সন। মেয়ের হাত তুলে পরীক্ষা করতে শুরু করেন। কিন্তু যেই হাতটা ছেড়ে দেন, অসাড়ের মতো পড়ে যায় হাতটা। তার পর ডান পা অসাড় হয়ে যায়। ১৫ মিনিটের মধ্যে সারা শরীর অসাড় হয়ে আসতে শুরু করে। আর বমি, মাথা ব্যথা।
advertisement
আরও পড়ুন: নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব, অবশেষে এল সব্যসাচীর পোস্ট! লড়ছে ঐন্দ্রিলা
বিপদ বুঝেই মেয়েকে মাথা ব্যথার ওষুধ দেন ঐন্দ্রিলার মা। তার পরেই অভিনেত্রীর সঙ্গী সব্যসাচী চৌধুরীকে ফোন করে ডাকেন তিনি। তার পরেই সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা আরম্ভ করে দেন।
মেয়ের ১৫ বছর বয়স থেকে লড়াই করতে দেখছেন ঐন্দ্রিলার মা। দু'বার ক্যানসার জয় করেছেন যে! মায়ের বিশ্বাস, মেয়ে ভাল হয়ে উঠবে। একটু সময় লাগছে এই যা। বড় মেয়ে চিকিৎসক। হাসপাতাল থেকে ক্রমাগত খবর দিচ্ছেন তাঁকে। ঐন্দ্রিলার দিদি তাঁদের মাকে জানিয়েছেন, চোখের পাতা এবং হাত নাড়িয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডাক্তার বলেছিল, 'আর মাত্র ৬ মাস', আশঙ্কা উড়িয়ে সেই ঐন্দ্রিলাই হয়ে উঠেছিলেন ফিনিক্স পাখি
শুক্রবার সন্ধ্যায় খানিক স্বস্তির খবর পাওয়া যায় হাসপাতাল সূত্রে। জানা গিয়েছে, বাঁ চোখ এবং বাঁ কাঁধ সামান্য নাড়াতে পারছেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু চিকিৎসার পরিভাষায় এখনও আশঙ্কা কাটেনি। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় দুই ইউনিট প্যাকড রেড ব্লাড সেল বা পিআরবিসি দেওয়া হয়েছে। রক্তচাপ অত্যন্ত কম থাকার জন্য ভেন্টিলেশনে তাঁকে ভেসোপ্রেসার দেওয়া হয়। এর ফলে তাঁর ব্লাড প্রেসার কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছিল। আপাতত সাত রকমের কড়া ওষুধ চলছে ঐন্দ্রিলার। স্টেরয়েড, অ্যান্টি বায়োটিক, আইভি ফ্লুয়িড ইত্যাদি ওষুধ চলছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষানিরীক্ষা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে।