প্রেয়সী, পরম বন্ধু, এতদিনের এত হাসিকান্নার সাথী ঐন্দ্রিলার পা ছুঁয়ে প্রণাম জানিয়েছেন শোকাতুর সব্যসাচী। আদর-সোহাগে কপালে এঁকে দিয়েছেন টিপ। এতদিনের এত কঠিন সময়ে পাশে থাকা বন্ধু আজও সহযাত্রী ঐন্দ্রিলাকে তাঁর শেষযাত্রার প্রতি মুহূর্তে আঁকড়ে ধরে থেকেছেন শক্ত করে। 'ভালোবাসা' ছোট্ট এই শব্দকে বার বারই আবেগ ভুলতে বসা, গতির এই কঠিন পৃথিবীকে নতুন করে এই ক'দিন চিনিয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরী। যেমন চিনিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলার ক্যান্সার জয়ের প্রতি মুহূর্তের যুদ্ধে তাঁর পাশে থেকে।
advertisement
'সব্যসাচীর ভালবাসার শক্তিই আবার ফেরাবে ঐন্দ্রিলাকে', জিতবে শুধুই প্রেম! দৃঢ় বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল ঐন্দ্রিলার অনুরাগীদের মধ্যেও। বিজ্ঞানের হিসেবে নিকেশ গুলিও যাচ্ছিল যেন চিকিৎসকদেরও! আক্ষরিক অর্থেই 'জবাব' দিয়ে দেওয়া 'মৃত্যুশয্যা' থেকে 'অমরত্বের প্রত্যাশা' জাগিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা।
আরও পড়ুন: 'ওপারে ভালো থাকিস'... চোখের জল, লিপস্টিক আর চন্দনে ছোটবোনকে শেষবারের মতো সাজালেন দিদি
সেদিন চোখের সামনে 'মিরাকেল' দেখে বুকে ভরসা জমেছিল প্রিয় মানুষটিরও। আশায় বুক বেঁধেছিলেন মা-বাবা-দিদি, বন্ধুরা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। নিয়তির কাছে বোধহয় হার মানতে হয় প্রেমকেও। তবে হার মানা হার মেনে নিয়েও সব্যসাচী ঐন্দ্রিলার ভালোবাসা কোথাও একটা জিতে গিয়েছে। ভালোবাসার হাত শক্ত হয়েছে কোথাও, ওঁদের ভালোবাসার আলো ধিকিধিকি জ্বলেছে সবার মনে। যে মন হয়ত অস্ফুটে বলে উঠেছে,
“হাতের উপর হাত রাখা খুব সহজ নয়
সারা জীবন বইতে পারা সহজ নয়
এ কথা খুব সহজ, কিন্তু কে না জানে
সহজ কথা ঠিক ততটা সহজ নয়।"