জানা গিয়েছে, দীর্ঘক্ষণ সিপিআর দেওয়ার পর Cardiopulmonary resuscitation (CPR) তাঁর হার্ট নিয়ন্ত্রণে আসে। হাওড়ার এন এইচ হাসপাতালের সূত্রে জানা গিয়েছে, যে লড়াই চালাচ্ছেন ঐন্দ্রিলা তা সত্যিই ব্যতিক্রমী। বুধবার সকালে হঠাৎ করেই তাঁর কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়, দ্রুত সিপিআর দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যে পরিস্থিতিতে ঐন্দ্রিলা রয়েছে তাতে এই হার্ট অ্যাটাক সত্যিই ভয় পাইয়ে দিয়েছিল। তবে ঠিক কী কারণে এই কার্ডিয়াক এরেস্ট বা হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ঐন্দ্রিলার জন্য পায়ে পড়ে অনুরোধ সৌরভের, ফেসবুকে দিলেন বহু প্রতীক্ষিত বার্তা
নতুন করে তার যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং তার জন্য যে নতুন এন্টিবায়োটিকের কোর্স চালু করা হয়েছে, তার কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এই হার্ট অ্যাটাকের পিছনে রয়েছে কি না, না অন্য কোনও কারণ সেটাও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ঐন্দ্রিলা এবং তাঁর পরিবার যেমন লড়াই চালাচ্ছেন, তেমন ভাবেই চিকিৎসকরাও দিনরাত এক করে ঐন্দ্রিলাকে মৃত্যুর কিনার থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঐন্দ্রিলা বললেই সব্যসাচীর মনে কী আসে? পুরনো ভিডিও নতুন করে ভাইরাল নেটপাড়ায়
২ নভেম্বর স্ট্রোক হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ঐন্দ্রিলা। নিউরো সার্জেন ডক্টর নীলয় বিশ্বাসের তত্বাবধানে চিকিৎসা শুরু হয়। ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেও অপারেশন,আর তার পর থেকে প্রায় দু'সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। মাঝে অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থা সামান্য উন্নতি হয়েছিল। তবে এই সপ্তাহের শুরু থেকে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। অবস্থার অবনতি হতে থাকে। গতকালই অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। ভেন্টিলেশনের প্রেসার বাড়ানো হয়। এখনো জ্ঞান ফেরেনি ঐন্দ্রিলার।
মস্তিষ্কের যেদিকে অস্ত্রোপচার করা হয়, তার বিপরীত দিকে বেশ কয়েক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধেছে। তবে সেগুলো অস্ত্রোপচার করা হবে না, ওষুধ দিয়ে সেই জমাট রক্ত বার করার চেষ্টা হচ্ছে। নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে তাঁর, সামান্য জ্বর রয়েছে বলে এটাই ভাবিয়ে তুলছে চিকিৎসকদের। নতুন এন্টিবায়োটিকের কোর্সও চালু করেছেন চিকিৎসকরা। গতকাল রাত থেকেই অভিনেত্রীর মৃত্যুর গুজবে তোলপাড় হয় সোশ্যাল মিডিয়া। শেষে সব্যসাচী রাত দুটো নাগাদ ফেসবুক পোস্ট করেন ও আশ্বস্ত করেন ঐন্দ্রিলার লড়াই চালানোর কথা।