সকাল থেকেই তারকাদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছিল ধর্মেন্দ্রর বাড়িতে। এর পর অ্যাম্বুলেন্সটিকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় শ্মশানের দিকে। শোক প্রকাশ করে মৃত্যুর খবরে সিলমোহর দেন প্রযোজক অভিনেতা করণ জোহর। ১০ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ধর্মেন্দ্রকে। দু’দিন তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়। পরে ১২ নভেম্বর তাঁকে ছাড়া হয়। ডিসচার্জের পর হেমা মালিনী সাংবাদিক সুভাষ কে. ঝাকে বলেন, “এই সময়টা আমার কাছে মোটেই সহজ ছিল না। ধরমজির শারীরিক অবস্থা আমাদের জন্যে বড় উদ্বেগের। ওঁদের সন্তানরাও সারারাত জেগে ছিল। আমি দুর্বল হতে পারি না, অনেক দায়িত্ব আছে, তবে হ্যাঁ—ও বাড়ি ফিরেছে, এটা ভেবে স্বস্তি লাগছে। এখন ও নিজের লোকেদের মাঝেই থাকুক। বাকিটা ভগবানের হাতে। আমাদের জন্যে প্রার্থনা করবেন।”
advertisement
এর পর ২৪ নভেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ধর্মেন্দ্র। মৃত্যুর সময়ে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
এর আগে অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়াতে মিডিয়ার প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন সানি দেওল। folded hands করে তিনি বলেন— “আপনাদেরও তো বাড়িতে মা-বাবা, সন্তান আছে… লজ্জা করে না?” এ সময় তিনি কয়েকটি কঠোর শব্দও ব্যবহার করেন।
ধর্মেন্দ্রর ডিসচার্জের পর চিকিৎসক ড. প্রতীত সামদানি জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অভিনেতা বারবার ভর্তি হচ্ছিলেন এবং কিছুদিন পর পর বাড়ি ফিরছিলেন।
নতুন শ্রম আইনে মহিলাদের কী কী লাভ হল অনেকেই জানেন না! নারীদের নতুন সুবিধাগুলো দেখে নিন
আধুনিক, সুরক্ষিত এলএইচবি কোচ পাচ্ছে উত্তর পূর্ব ভারতের ১০ জোড়া ট্রেন! কলকাতা থেকে কোনগুলো জানুন
ডিসচার্জের পর পরিবারের ছিল গোপনীয়তা বজায় রাখার আর্জি
পরিবারের বিবৃতি ছিল—
“ধর্মেন্দ্রজি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এবং বাড়িতেই বিশ্রাম নেবেন। এই সময় কোনও রকম গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। তাঁর এবং পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান জানান। তাঁর সুস্থতা কামনায় যাঁরা প্রার্থনা করেছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ। ধর্মেন্দ্রজি আপনাদের অনেক ভালবাসেন, তাই দয়া করে তাঁকে সম্মান দিন।”
মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়ানোয় পরিবারের ক্ষোভ
১১ নভেম্বর সকালে অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়লে, তাঁর মেয়ে ঈশা দেওল ও স্ত্রী হেমা মালিনী তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সে কারণে ২৪ নভেম্বর সোমবার অভিনেতার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পরে একটু দেরিতে খবর প্রকাশ্যে আনা হয়।
