তাঁর কাজ হল যৌন দৃশ্য শ্যুটের সময় খেয়াল রাখা। সাগর সিনেমাটা প্রায় সকলেই দেখেছেন। সেখানে একটি দৃশ্যে টাওয়াল খসে গিয়েছিল ডিম্পলের গা থেকে। আর তা নিয়ে অস্বস্থিতে পড়েছিলেন ডিম্পল। আস্থা বলেছেন সেই সময় তিনি থাকলে বিষয়টা এমন হতই না। তা কি কাজ করবেন আস্থা? তিনি যৌন দৃশ্যের আগে নায়ক-নায়িকাকে প্রশিক্ষণ দেবেন। বোঝাবেন কি করতে হবে কি না। এবং শ্যুটিংয়ের সময় তাঁর সব সময় নজর থাকবে অভিনেতাদের ওপর। কোনও মহিলার যাতে সম্মান হানি না ঘটে সেদিকে থাকবে কড়া নজর। এবং যদি কোনও দৃশ্য আপত্তিকর হয়। তবে তা কেটে বাদ দেওয়া হবে নাকি রাখা হবে, তা নিয়েও তিনি আলোচনা করবেন নায়ক-নায়িকা ও পরিচালকের সঙ্গে।
advertisement
লকডাউনের পর থেকেই আস্থা ঠিক করেন এই কাজ করবেন। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আস্থাদের মতো পেশাদারদের হাত ধরে হয়তো নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। ভবিষ্যতে আর ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অহেতুক টেনশন আর কুণ্ঠায় ভুগতে হবে না কুশীলবদের। যৌনতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরও সাবালক হওয়ার পথে এগিয়ে যাবে ভারতীয় রুপোলি পর্দার দুনিয়া। কাউকেই আর অস্বস্থিতে পড়তে হবে না। একটা চুমুর দৃশ্য বহুবার শ্যুট করা হয় প্রয়োজনে। আস্থার কাজ হবে সেদিকেও খেয়াল রাখা। যাতে বার বার চুমু খেতে গিয়ে কেউ অস্বস্থিতে না পড়েন। বা আগে থেকেই এমন পরিবেশ তৈরি করা যাতে এই সব দৃশ্য সহজেই শ্যুট করা যায়। মোট কথা দু'জন মানুষের মধ্যে কথোপকথোনের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে তোলাই তাঁর কাজ। ২৬ বছরের এই তরুণী এই মুহূর্তে একাধিক কাজ করছেন। নেটফ্লিক্সের বেশ কিছু প্রোজেক্ট রয়েছে তাঁর হাতে।