সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সংস্কৃতি জগতে জনপ্রিয় মুখ ছিলেন ভারতীয় এই নৃত্যশিল্পী। বাড়ি কেরালাতে হলেও কর্মসূত্রে তিনি দুবাইয়েই থাকতেন, নাচের পাশাপাশি ছিলেন সফল ইভেন্ট ম্যানেজার।
দীপার স্বামী সুরজ মাসুদ জানান, 'করোনা ভাইরাসের জেরে চারপাশটা ভীষণ বিধ্বস্থ... এই কারণেই বোধহয় দীপাকে বাঁচাতে পারলাম না।' তিনি জানান, ২০১১ সালে পেটে অস্ত্রোপচারের পর থেকেই মাঝেমধ্যে অসুস্থ হতেন দীপা। মাঝেমধ্যেই পেটে ব্যাথা, ডায়ারিয়া হত। রবিবার ভোররাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাঁকে দুবাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে ভর্তি ছিলেন ১৪০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী, কাজেই ভর্তি নেওয়া যায়নি দীপাকে। করোনার কারণে আরও একটি হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় দীপাকে। শেষ পর্যন্ত শহরের একটি ক্লিনিকে রাতভর ভর্তি থাকেন তিনি, পেইন কিলার দিয়ে সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়।
advertisement
সুরজ মাসুদ জানান, বাড়ি ফেরার পর ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন দীপা। হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছিল। হাসপাতালে বেড পাওয়া যাবে না, তাই পুলিশে ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ক্রমাগত শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে, রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় নৃত্যশিল্পীর।
