এ দিন গুজরাতের ভোট প্রচারে নিজের ১৮ তম জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ গুজরাতের খেড়ার জনসভা থেকেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ যে সময় তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন রাজ্যে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার ঘটনার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী৷ অভিযোগ করেন, সেই সময় দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকা ইউপিএ সরকার সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি নরম মনোভাব দেখিয়েছিল৷
advertisement
আরও পড়ুন: বিজেপি-র সঙ্গে জোট, নন্দকুমার মডেল ঠেকাতে দশ নেতাকে বহিষ্কার করল সিপিএম
নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'সেই সময় গুজরাতে আমাদের সরকার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করছিল৷ কিন্তু দিল্লির ইউপিএ সরকার সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে নমনীয় মনোভাব দেখিয়েছিল৷ বরং ওরা (কংগ্রেস) আমায় আক্রমণ করতে ব্যস্ত ছিল৷'
আরও পড়ুন: দিব্যেন্দু অধিকারীর চায়ের আমন্ত্রণ, হঠাৎই অভিষেকের বাবার নোটিস পৌঁছল শুভেন্দুর বাড়িতে!
গুজরাতে ইশরাত জাহান এনকাউন্টার বা সোরাবুদ্দিন শেখ এনকাউন্টারের মতো একাধিক ঘটনা নিয়ে তৎকালীন ইউপিএ সরকার এবং নরেন্দ্র মোদির গুজরাত সরকারের মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়েছিল৷
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, এক সময় গুজরাত সন্ত্রাসবাদীদের নিশানায় ছিল৷ আহমেদাবাদ, সুরাতে একাধিক হামলার ঘটনাও ঘটেছিল৷ মোদি বলেন, 'আমরা অনেক ক্ষেত্রেই অভিযুক্তদের ধরে শাস্তির ব্যবস্থা করেছিলাম৷ এখানে আমরা চেষ্টা করতাম অপরাধীদের ধরে শাস্তি দিতে৷ আর দিল্লির ইউপিএ সরকার তাদেরকে মুক্ত করার জন্য সর্বশক্তি লাগিয়ে দিত৷ আমরা ক্রমাগত বলতাম সন্ত্রাসবাদীদের ধরার চেষ্টা করুন, আর দিল্লির কংগ্রেস সরকার তার বদলে মোদি সরকারকে নিশানা করত৷ তার ফলে সন্ত্রাসবাদ আরও ছড়িয়ে পড়ত এবং ভারতের বিভিন্ন শহরে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটত৷ বাটলা হাউস এনকাউন্টারের ঘটনাতেও কংগ্রেস নেতারা জঙ্গিদের সমর্থনে চোখের জল ফেলেছিলেন৷ কংগ্রেস সন্ত্রাসবাদকেও ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে৷'
গুজরাতে এবার বিজেপি-কে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার জন্য মাঠে নেমেছে আম আদমি পার্টি৷ তাদের নাম না নিয়েই মোদি নতুন কিছু দলের বিরুদ্ধেও কংগ্রেসের দেখানো পথে তোষণের রাজনীতি করে শর্ট কাটে সাফল্য পাওয়ার অভিযোগ এনেছেন৷ এই ধরনের দলগুলির থেকে গুজরাতের যুবসমাজকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷