পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ফল কেমন হবে, এই প্রশ্নের জবাবে গতকাল প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস অসিত্ব রক্ষার লড়াই করছে৷ গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই বিজেপি সবথেকে বড় সাফল্য পাবে৷ নরেন্দ্র মোদির এই দাবি ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে৷
advertisement
এ দিন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বারুইপুরে সভা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই দাবির জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, বলছে বাংলায় নাকি সবথেকে বেশি আসন৷ উনি জেনে গেছেন উনি হেরে যাবেন৷ বলছে সবথেকে বেশি ভোট নাকি বাংলায় পাবে৷ তার মানে উত্তর প্রদেশে হেরে গেছে অলরেডি, বিহারে হেরে গেছে অলরেডি৷ আর বাংলায় আসন চাই? হবে না বাংলা তোমায় গোল্লা দেবে৷ এসো রসগোল্লা খাওয়াবো, রাজভোগ খাওয়াবো৷ আমরা তৃণমূল কংগ্রেসই ইন্ডিয়া জোটকে সমর্থন করে ক্ষমতায় আনব৷
এর পরেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে তৃণমূলনেত্রী বলেন, আমার কাছে খবর আছে, অনেক জায়গায় বোঝাপড়া হয়েছে৷ একটা জায়গা যেমন দমদম৷ ওখানে লোকসভায় বিজেপি সিপিআইএমকে দেবে৷ বিধানসভায় সিপিএম বিজেপিকে দেবে৷ এই রাজনীতি তৃণমূল কোনও দিন করে না৷ করলে সিপিআইএমকে হারাতে পারতাম না৷
এ দিন বারুইপুরের সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩০ মে প্রচার পর্ব শেষ হওয়ার পর কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসেন, তাহলে তৃণমূল নির্বাচন কমিশনে আপত্তি জানাবে৷ কারণ শেষ পর্বের ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী ধ্যান করার ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হলে তা আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ করবে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলনেত্রী৷