লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ পঞ্চম দফার ভোট লাইভ
জনপ্রতিনিধি হিসাবে মানুষ চাইছেন কিনা তা বুঝে নেওয়া হবে, বলছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বেশ কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত হয়েছে যেখানে পুর ও বিধানসভার ফল পাল্টে যায় লোকসভায়। সেখানে বিশেষ করে প্রচার চালানো হচ্ছে। সুদীপের বিরুদ্ধে তাপসের অভিসন্ধি উত্তরে কাজে লাগবে না বলে চ্যালেঞ্জ ফিরহাদের। গত লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতায় ২৬টি ওয়ার্ডে এগিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। দক্ষিণ কলকাতা লোকসভার অধীন কলকাতা পৌরসভার ৫৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৬টিতে বিজেপির এ ভাবে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তৃণমূল নেতৃত্বের মনে আশঙ্কা তৈরি করেছিল সেই সময়ে। যদিও পরবর্তী সময়ে বিধানসভা এবং পুরসভার নির্বাচনে সেই ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে জমি পুনরুদ্ধার করেছিল বাংলার শাসকদল।
advertisement
আরও পড়ুন: সাধ ছিল আর একবার ভোট দেবেন! ইচ্ছেপূরণের দশ মিনিটের মধ্যেই হাওড়ায় মৃত্যু বৃদ্ধার
কিন্তু এ বারের লোকসভা নির্বাচনে যাতে ২০১৯ সালের পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক তৃণমূল নেতৃত্ব। পুরসভার দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই বৈঠকে উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতার কাউন্সিলরদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সব ওয়ার্ড থেকে প্রার্থীদের ভাল লিড দিতে হবে। যে হেতু দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের ‘গড়’, সে হেতু এই এলাকার কাউন্সিলরদের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ, তৃণমূলের ‘দুর্গ’ দক্ষিণ কলকাতায় বাস করেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের এক ঝাঁক প্রথম সারির নেতা। তাই সবাইকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। দক্ষিণ কলকাতার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। যে ২৬টি ওয়ার্ডে গত লোকসভা নির্বাচনে পিছিয়ে পড়েছিল তৃণমূল, সেই সব ওয়ার্ডে প্রার্থী মালা রায়কে নিয়ে কর্মিসভা করানো হচ্ছে। শুধু দলীয় কর্মীদের সঙ্গেই নয়, ওই ওয়ার্ডের মানুষজনের সঙ্গেও যাতে মালা নিজে কথা বলতে পারেন, তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।