তিনি আরও বলেন, ‘বেশিরভাগটাই শান্তি শৃঙ্খলায় ভোট হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও যাঁরা পুলিশের দালাল তাঁদের তো তাড়াতে পারেনি। এখানে আগে থেকে কিছু পুলিশ তৃণমূলের দালালি করবে বলে এসেছে। কিছু প্রিসাইডিং অফিসাররাও আছে।’বাহিনীর প্রশংসা শোনা গিয়েছে অধীরের মুখে, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতিষেধক কাজে লেগেছে। আমি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশংসা করছি। তাঁরা না থাকলে ভোট না হত না। রাজ্যের সিইও খুব ভাল অফিসার। এইরকম অফিসার পাওয়া যায় না।’
advertisement
অনেকেই বলছেন, এবার বহরমপুরে তাঁর লড়াইটা অন্যবারের তুলনায় কঠিন৷ পাঁচ বার বহরমপুর থেকে ভোটে জেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী অবশ্য এই সমস্ত রাজনৈতিক ব্যাখ্যা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন৷ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমাকে হারাতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করা হচ্ছে। আপনাদের মূল উদ্যেশ্য অধীর চৌধুরীকে হারানো।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিতু মহিলা। উনি চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন না। ২০২৬- এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন না, এইটুকু আমি জানি।’
আরও পড়ুন: তিন দলের তিন তারকা! চতুর্থ দফায় নিজেদেরই প্রমাণের চ্যালেঞ্জ অধীর-দিলীপ-মহুয়ার সামনে
আজ সোমবার চতুর্থ দফার নির্বাচন। ৮ কেন্দ্রে ভাগ্য় নির্ধারণ হবে ৭৫ জন প্রার্থীর। যার মধ্যে রয়েছেন হেভিওয়েট প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন দিলীপ ঘোষ।মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর, বীরভূমের বোলপুর এবং বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র, নদিয়ার কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান-দুর্গাপুর ও বর্ধমান-পূর্ব, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে আজ।
প্রসঙ্গত, ভোটের দিন সকালে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর শহরের দয়ানগর এলাকায় বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কনভয় আটকায় বহরমপুর সদরের ডিএসপি সুশান্ত রাজবংশী-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের বক্তব্য, অধীর রঞ্জন চৌধুরী তাঁর নিজের ব্যক্তিগত একটি গাড়ি এবং সিকিউরিটির একটি গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন তাছাড়া অন্য কোনও গাড়ি বা প্রেসের কোনও গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন না। দীর্ঘক্ষণ ধরে বচসা তৈরি হয় এবং এখনও পর্যন্ত পর্যন্ত অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কনভয় আটকে রেখেছে পুলিশ। পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত বহরমপুর শহরে।
২০১৯ সালে এই ৮ লোকসভা কেন্দ্রে মধ্যে একমাত্র বহরমপুরে জিতেছিল কংগ্রেস। বিজেপির হাতে ছিল রানাঘাট, বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং আসানসোল। তৃণমূল জিতেছিল বীরভূম, বোলপুর, কৃষ্ণনগর, বর্ধমান-পূর্ব।