এদিন আবারও সন্দেশখালি প্রসঙ্গে জোড়াল আক্রমণ করতে দেখা যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ অভিষেকের কথায়, ‘‘বিজেপি সন্দেশখালি নিয়ে অনেক সাজানো কথা বলেছিল। কিন্তু স্টিং অপারেশন ভিডিও তাদের চক্রান্তের পরিকল্পনাকে সামনে এনে দিয়েছে। আমরা ভাবতেও পারি না। একটা রাজনৈতিক দল এমন নিচু মানসিকতার কাজ করতে পারে। আমরা গোধরার কথা শুনেছি। আমরা শুনেছি পুলওয়ামার কথা। আমরা সেসব বলছি না। এই বিষয়ে বিস্ফোরক কথা বলেছেন সত্যপাল মালিক।’’
advertisement
তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘কিন্তু দু’দিন আগে আমরা সাক্ষী থাকলাম বিজেপি তাদের ভোটের জন্য মাত্র ২০০০ টাকায় মা-বোনেদের সম্মান প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বিক্রি করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম করতে গিয়ে অপমান করতে গিয়েছিল দেশের কাছে। তারা বাংলার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সংস্কৃতি সম্মানকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিল।’’
অভিষেকের অভিযোগ, এই স্টিং অপারেশনে বিজেপি নেতারা ক্যামেরার সামনে বলেছেন কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। ২০০০ টাকা দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করানো হয়েছে। এমন একজনকে আবার বসিরহাটে প্রার্থী করা হয়েছে। অভিষেক জানান, এটা তাঁর কথা নয়, এটা বিজেপির নেতা গঙ্গাধর কয়ালের মুখের কথা।
এরপরেই অভিষেক বলেন, ‘‘সত্য দীর্ঘদিন চাপা থাকে না। সব মিথ্যা ফাঁস হবে। সন্দেশখালি প্রমাণ করল বিজেপি দল জালি। সন্দেশখালির সন্দেশ, বাংলা বিরোধীদের খেলা শেষ।’’
সন্দেশখালির ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, আড্ডার ছলে প্রশ্নকর্তাকে জবাব দিচ্ছেন গঙ্গাধর কয়াল। সেই কথোপকথনে বার বার উঠে এসেছে শুভেন্দুর নাম। গঙ্গাধরকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘এই আন্দোলন (সন্দেশখালির আন্দোলন) এত দিন টিকে আছে কেন? তিনটে ছেলে এ দিক-ও দিক যাচ্ছে, গোটা বিষয়টা পরিচালনা করছে। শুভেন্দুদার আমাদের উপরে আস্থা আছে। শুভেন্দুদা এক বার ঘুরে গিয়েছে, তাতেই আন্দোলন এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে।’’ ভিডিয়োয় গঙ্গাধরের ‘স্বীকারোক্তি’, ‘‘শুভেন্দুদা টাকা আর মোবাইল ফোন দিয়ে গিয়েছেন। কারণ, এই ধরনের কাজ খালি হাতে হয় না।’’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বিজেপির যে কেন্দ্রীয় নেতারা লাগাতার সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে বাংলার ‘বদনাম’ করেছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের ক্ষমা চাইতে হবে। বিজেপি অবশ্য ভিডিয়োটিকে ‘ভুয়ো’ এবং ‘বিকৃত’ বলে দাবি করেছে। সিবিআই তদন্ত চেয়েছে তারা।