এরপরই এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে মমতা বলেন, ”চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই, চাকরি কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা। কোন দফতর কীভাবে চাকরি দেয়, সেটায় আমি মাথা ঘামাই না। সেটা সেই দফতরের ব্যাপার। কিন্তু আমার খারাপ লেগেছে। বিজেপির নেতাদের বলব, যারা এই সব কেস করে যারা কালির কলমে এই সব কাজ করছ, তাদের যদি বলা হয় টাকা ফেরত দিতে তারা কি পারবেন দিতে? বাংলায় কি সব স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে? বাংলায় কি শিক্ষকরা চাকরি করবে না? কোর্ট আটকে দিচ্ছে। বিজেপির একটা মহামিলন কেন্দ্র। অন্য কেউ যদি বিচার হয়, বিচার পাবেন না। যারা মানুষের চাকরি খাচ্ছে, তারা আসামীদের জামিন দিয়ে দিচ্ছে। আমি বিচারপতিদের নিয়ে বলব না। কিন্তু আমি রায় নিয়ে বলছি। তুমি স্ক্রুটিনি করতে দিতে পারতে। কিন্তু একবারে ২৬ হাজার চাকরি খাওয়া! এটা কি একেবারে মজার মুলুক?”
advertisement
আরও পড়ুন: জেলে ‘কেষ্ট’, কিন্তু অনুব্রতর সবচেয়ে বড় গুণ কী? প্রকাশ্য সভায় বললেন মমতা
হাইকোর্টের এই নির্দেশের সঙ্গে বিজেপিকেও জুড়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত মানুষের চাকরি যাওয়ার জন্য বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, ”২৬ হাজার চাকরি খাওয়ার প্রতিবাদে সরকারি কর্মচারীদের বলব, বিজেপিকে একটা ভোট দেবেন না! কে জানে, আবার চাকরি খাবে কবে? এরা কোর্ট কিনে নিয়েছে, এরা হাইকোর্ট কিনে নিয়েছে, এরা সিবিআই, এনআইএ কিনে নিয়েছে। আমি সুপ্রিম কোর্টের কথা বলছি না, সুপ্রিম কোর্টের থেকে এখনও বিচারের আশা করি।”
যদিও এই পরিস্থিতিতে আশ্বাসের ডালিও উপুড় করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”১১ লক্ষ বাড়ির কাজ আগামী ৬ মাসের মধ্যে করে দেব। আপনারা কি মনে করেন বিজেপি কি ক্ষমতায় আসবে? এবার উত্তরপ্রদেশে ভাল লড়াই করছে অখিলেশ। বিহারে এত সিট পাবেন? চেন্নাইতে তো শূন্য সিট পাবেন। কর্নাটকে আগের বার সব সিট পেয়েছিলেন। এবার পাবেন না।”