হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার ৬৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হয় গত ১২ নভেম্বর। প্রায় ৫৫ লক্ষ ভোটদাতার রায়ে ভাগ্য নির্ধারিত হয় ৪১২ জন প্রার্থীর।
আরও পড়ুন: মমতার সফরকালেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোন রাজ্যের মন্ত্রীকে, বাংলার জন্য বিরাট সুখবর!
গত ৪০ বছরে কোনও দল পর পর দু’বার জিতে ক্ষমতায় আসতে পারেনি হিমাচলে। এবারের ভোটে মোদি-শাহের দল তাই স্লোগান তুলেছিল, ‘রাজ নহি রেওয়াজ বদলো’। রিওয়াজ বদলানোর জন্য অবশ্য কোনও কসুর করেনি পদ্ম শিবির। হিমাচলের ভোটে মোদির উন্নয়নকেই তুরুপের তাস করেছে তারা।
advertisement
তবে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, আপেলের ন্যায্য দাম না পাওয়া, সারের সমস্যার মতো বিষয় শাসকশিবিরকে চিন্তায় রেখেছে এবার। তার উপরে দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বও এবারে ভোটে বিজেপির কাছে বড় ফ্যাক্টর। রাজ্যের ৬৮টির মধ্যে অন্তত ২০টি আসনে পৃথকভাবে লড়ছেন বিদ্রোহী নেতারা। সূত্রের খবর, কয়েকটি কেন্দ্রে বিজেপির বিদ্রোহী নেতারা নির্দল প্রার্থী হিসাবে এগিয়েও রয়েছেন।
নিজের কেন্দ্র সেরাজে এগিয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। অন্যদিকে, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং-এর ছেলে বিক্রমাদিত্য সিং এগিয়ে রয়েছেন শিমলা (গ্রামীণ) কেন্দ্রে।
অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে হিমাচলে আগেভাগে সতর্ক থাকছে কংগ্রেসও। সূত্রের খবর, জয়ী বিধায়কদের রাজস্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কারণ একটাই, সরকার গড়তে মরিয়া বিজেপি জয়ী বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করতে পারে। সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতেই কংগ্রেস শাসিত রাজ্য় রাজস্থানে হিমাচলের জয়ী বিধায়কদের নিয়ে যেতে চাইছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: সেতু ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল শতাধিক মানুষের, গুজরাতের সেই মোরবিতেও এগিয়ে বিজেপি
ইন্ডিয়া টুডে মাই অ্যাক্সিস ইন্ডিয়া বুথফেরত সমীক্ষায় উঠে এসেছিল, বিজেপি পেতে পারে ২৪-৩৪টি আসন, কংগ্রেস ৩০-৪০টি আসন। অন্যান্যরা ৪-৮টি আসন পাবে বলেছিল এই সমীক্ষা।
অন্যদিকে, এবিপি নিউজ-সি ভোটারের বুথফেরত সমীক্ষায় বলা হয়েছিল,বিজেপি পেতে পারে ৩৩-৪১টি আসন, কংগ্রেস পেতে পারে ২৪-৩২টি আসন, অন্যান্যরা পেতে পারে ০-৪টি আসন। এখানেও আপকে একটি আসনও দেওয়া হয়নি।
নিউজ ২৪- টুডে’জ চাণক্যের সমীক্ষায় উঠে এসেছিল, বিজেপি পেতে পারে ৩৩টি আসন, কংগ্রেস পেতে পারে ৩৩টি আসন, অন্যান্যরা ১-৩টি আসন। এখানেও আপের খাতা ছিল শূন্য।