প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর থেকে যে দিলীপ ঘোষকে সরানো হতে পারে, সেই জল্পনা ছিলই। সেই মতোই বাংলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতিকে রাঢ়বঙ্গের কঠিন পিচে পাঠানো হল। সেখানে তাঁর প্রতিপক্ষ বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপির টিকিটে দু’বারের প্রাক্তন সাংসদ কীর্তি আজাদ। এবার বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়েছেন কীর্তি আজাদ।
আরও পড়ুন: রাতে ঘুরল খেলা! পরাস্ত এবিভিপি, JNU বামেদেরই! সব আসনের রংই লাল
advertisement
বস্তুত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়ার পর থেকেই দিলীপ ঘোষের সক্রিয়তা কিছুটা কমছিল। এ রাজ্যে বিগত কয়েকটি নরেন্দ্র মোদির সফরেও দিলীপকে দেখা যায়নি তাঁর আশেপাশে। চলতি মাসের প্রথমে আরামবাগ ও কৃষ্ণনগরের সভায় মোদির সভায় ছিলেন না দিলীপ ঘোষ। পরে অবশ্য খানিকটা দলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছিলেন। কিন্তু বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় ২০ আসনের মধ্যে দিলীপ ঘোষের নাম না থাকা নিয়ে যথেষ্ট গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। তবে শেষমেশ তাঁকে টিকিট দিল গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু পছন্দের মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে।
আরও পড়ুন: জল্পনাই সত্যি হল, তমলুকে বিজেপির হয়ে লড়বেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
কিন্তু কেন মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে পাঠানো হল দিলীপকে? বিজেপির অন্দরের একটি সূত্র বলছে, মেদিনীপুরে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে এক মহিলা মুখকেই লড়াইতে নামাতে চাইছিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই জুনের বিরুদ্ধে বেছে নেওয়া হল ডাকাবুকো বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে। আবার বর্ধমান-দুর্গাপুরে দিলীপকে পাঠানোর নেপথ্যে যুক্তি হল, আরএসএসের প্রচারক থাকাকালীন দিলীপ ঘোষ বর্ধমান-দুর্গাপুর অঞ্চলে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। গোটা এলাকা তাঁর চেনা। এই অঞ্চলে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নাতীত। তাই বর্ধমান দুর্গাপুরে ভোটের বৈতরণী পেরতেই দিলীপকেই বাজি হিসেবে ধরল বিজেপি।