ঘটনাটি বলাগরের একতারপুরের। সেই সময় একতারপুরে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। পাত্রী পক্ষ ইয়াসমিন সুলতানার বিয়ে রয়েছে। বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়েছে হালাইকাররা সেই সময় বিরিয়ানি রান্না করতে ব্যস্ত। এমন সময় মাইক বাজতে শুরু করল গ্রামে এসেছেন দিদি নম্বর ওয়ান রচনা ব্যানার্জি। অমনি এক ছুটে হবু বউ দৌড়ে চলে এলেন রাস্তায়, দিদি নম্বর ওয়ান-কে দেখার জন্য।
advertisement
রচনা ব্যানার্জি জনসংযোগের সঙ্গে কথা বলেন নববধূর সঙ্গে। হবু কনে তখন ও সাজ গোজ করে উঠেতে পারেনি তাই রচনা বলেন বিয়ের দিনে তাড়াতাড়ি সেজে নিতে নাহলে বড় এসে দেখে দুঃখ পাবে। একইসঙ্গে নিজের হাতে থাকা একটি গোলাপ ফুল তিনি তুলে দেন ইয়াসমিনের হাতে। ইয়াসমিনের বাড়ির তরফেও নিমন্ত্রণ জানানো হয় রচনাকে তার বাড়িতে আসার জন্য। যদিও ব্যস্ততম দিনে প্রচার থাকার জন্য রচনা বিয়ে বাড়িতে আসতে পারেননি ঠিকই তবে বিয়ে বাড়ির বিরিয়ানির গন্ধ যে রচনাকে আকৃষ্ট করেছিল তা ফুটে উঠেছে তার কথার মধ্যে দিয়ে।
এই বিষয়ে রচনা জানান, একটি বিয়ে বাড়ি থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয় তাঁকে। বিরিয়ানি খাওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। কিন্তু, প্রচারে যেতে হবে। তাই এই যাত্রায় আর বিরিয়ানি খাওয়া তাঁর হয়ে ওঠেনি। এদিকে বিরিয়ানি না খেলেও পাত্রীকে আশীর্বাদ করেছেন তিনি। বিয়ের পাত্রী ইয়াসমীন সুলতানা বলেন, ‘রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে প্রচার করছিলেন। সেই সময় বিয়ে বাড়ি দেখে রচনাদি জানতে চান কার বিয়ে? সেই সময় বাড়ির লোক আমাকে ডেকে নিয়ে আসেন। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে গোলাপ ফুল দিয়ে আশীর্বাদ করেন। খাবারের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু, প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। তবে পরে এসে খেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
রাহী হালদার