প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘‘আমরা এখনই নির্দিষ্ট কোনও আসনের সংখ্যা বলাটা ঠিক হবে না৷ এখনও তেমন সময় হয়নি৷ তবে দিপাবলীর পর থেকে আমি গুজরাতে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছি৷ তার ভিত্তিতে নিশ্চিত করে বলতে পারি৷ কিন্তু আমি এ কথা বলছি, বিজেপি এই রাজ্যে নিজের সমস্ত নির্বাচনী রেকর্ড ভেঙে সর্বাধিক আসন ও সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত হয়ে ক্ষমতায় আসবে৷’’ এর পরেই প্রশ্ন আসে, আপনি কী মনে করেন, মাধব সিং শোলাঙ্কির রেকর্ডও ভেঙে দেবে বিজেপি৷
advertisement
তার উত্তরে অমিত শাহ বলেন, ‘‘দেখুন আমরা অন্য কারওর রেকর্ড ভাঙার জন্য রাজনীতি করি না৷ রেকর্ডের রাজনীতি বিজেপি করে না৷ আমাদের কারওর সঙ্গে প্রতিযোগিতা নেই৷ যাঁরা বিজেপিকে ভোট দেবেন, তাঁরা যাতে ভোট দিতে পারেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা আমাদের কার্যকর্তাদের কর্তব্য৷ আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের দলের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে চাই৷ আর আমরা একটি শক্তিশালী সরকার তৈরি করে, একটি সুরক্ষিত, সুবিকাশিত, শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান গুজরাত তৈরি করতে চাই, যে কাজ আমরা করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে৷’’
আরও পড়ুন: অনুব্রতহীন বীরভূমে কীভাবে পঞ্চায়েত ভোট? কলকাতায় বৈঠকে বসছেন অভিষেক
আরও পড়ুন: 'বাংলা জানে কী করতে হয়', বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার! কুৎসা রুখে দেওয়ার ডাক
এ বারে গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনের নির্দিষ্ট দিন রয়েছে দুটি৷ ডিসেম্বরের ১ তারিখে ও ৫ তারিখে গুজরাতে বিধানসভার নির্বাচন হবে৷ নির্বাচনের পরে ভোটগণনা হবে ৮ ডিসেম্বর৷ এ বারে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় রয়েছে একাধিক চমক৷ বেশকয়েকজন হেভিওয়েট প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়করা এ বার বিধানসভায় প্রার্থী হননি৷ বদলে নবীন প্রজন্মের বেশ কয়েকজন সুযোগ পেয়েছেন৷ উল্টোদিকে এ বারে গুজরাতে আপ-এরও আবির্ভাব হয়েছে৷ সব মিলিয়ে এখন ভোটের রাজনীতিতে উত্তপ্ত রয়েছে গুজরাত৷ সেই পরিস্থিতিতেও অমিত শাহের গলায় আত্মবিশ্বাস যথেষ্টই৷