মা নুন্নেষা শেখ নিতান্তই গৃহবধু। সামান্য রোজগারের টাকায় কোনও রকমে সংসার চলে। বাড়িতে আর্থিক অনটন থাকলেও ছেলের পড়াশোনার জন্য, সবরকম ভাবে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন ইব্রাহিম ও নুন্নেষা। ছেলে রাজ্যের মধ্যে প্রথম হওয়ায় বেজায় খুশি তাঁরা। শনিবার মাদ্রাসার ফাজিল পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হতেই জানা যায়, ইয়ামিনে গোটা রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। সেই খবর শোনার পরে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি বাবা-মা। আনন্দে দু’জনের চোখেই জল চলে আসে। খুশি পাড়ার প্রতিবেশীরাও।
advertisement
ইয়ামিন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে সে আরবি নিয়ে পড়াশোনা করে অধ্যাপনা করতে চায়। তার জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সুন্দরবন এলাকার খেড়িয়া সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা বরাবরই ভাল ফল করে থাকে। সেই মাদ্রাসার মেধাবী পড়ুয়া ইয়ামিন প্রথম থেকেই ভাল পড়াশোনা করত।
ক্লাসের অন্যতম সেরা ছাত্র ছিল সে। তাই ফাজিল পরীক্ষায় ভাল ফল করার ব্যাপারে সে আত্মবিশ্বাসী ছিল। শিক্ষকরাও আশা করেছিলেন, ইয়ামিন হয়তো তাঁদের মুখ উজ্জ্বল করবে। কিন্তু মেধা তালিকায় প্রথম হয়ে সে সবার প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
সুমন সাহা