শুধু তাই নয় বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মোট ২১ টি সরকারি বিএড কলেজ রয়েছে। সেখানেও ১০০ শতাংশ আসন পূরণ হয়েছে বিএড পড়ার জন্য। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বি. এড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন 'মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষক নিয়োগের কথা বারবার বলছেন। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হচ্ছে। এখানে ছাত্রছাত্রীদের বি .এড পড়ার তাই চাহিদা তুঙ্গে।'
advertisement
উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এত বড় সংখ্যক বিএড করার আগ্রহ অন্তত সাম্প্রতিক সময়ে কার্যত নেই। এবারে বিএড পড়ায় সর্বকালীন রেকর্ড হয়েছে বলেই দাবি উচ্চশিক্ষার দফতরের আধিকারিকদের। উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের মতে এবার প্রাথমিকের টেট বা এসএসসির টেট প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিএড এর প্রয়োজন রয়েছে। সেক্ষেত্রে টেট নেওয়ার তৎপরতা রাজ্যের তরফে শুরু হলেই বি.এড পড়ার প্রবণতা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বাড়বে। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে বছরে দুবার টেট নেওয়া হবে। উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের মতে রাজ্যের তরফে টেট নেওয়ার তৎপরতা শুরু হওয়ার জন্যই বিএড পড়ার আগ্রহ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বেড়েছে।
যদিও এবার বি. এড বিশ্ববিদ্যালয় গোটা ভর্তি প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে করেছে। অর্থাৎ বেসরকারি বিএড কলেজগুলির ভর্তি প্রক্রিয়ায় এবার কোনও ভূমিকা ছিল না। সেক্ষেত্রে এই ধরনের ভর্তির হার যথেষ্ট ইতিবাচক বলেই মনে করছেন বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরাও। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন "আমরা এবার ভর্তি প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে করেছি। কোন কলেজের কোন ভূমিকা ছিল না। গোটা ভর্তি প্রক্রিয়ায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়"।
গত কয়েক বছরেও বি এড করার আগ্রহ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে থাকলেও চলতি শিক্ষাবর্ষে বিএড এর ভর্তি হওয়ার পরিসংখ্যান তুলনামূলক বেশি বলেই দাবি উচ্চশিক্ষা দফতরেরর আধিকারিকদের। সাম্প্রতিক সময় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ার জন্য বি এড পড়ার আগ্রহ ফেরার চেয়ে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে তেমনটাও বিরোধীদের তরফে অভিযোগ উঠে এসেছে। আর তার মাঝেই এবার ৯৬ শতাংশ বি.এড পড়ার আগ্রহ দেখাল অন্তত তেমনটাই বলছে বি এড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়