পর্ষদের এক আধিকারিক জানান, দুর্গাপুজোর ছুটির জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। উৎসব শেষেই অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর প্রক্রিয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে। কী নিয়মে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, সে কথা আগেই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রশিক্ষণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মোট ৫০ নম্বরে মূল্যায়ন করা হবে। তার মধ্যে মাধ্যমিক-৫ নম্বর, উচ্চ মাধ্যমিক-১০ নম্বর, এনসিটিই ট্রেনিং-১৫ নম্বর, টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট)- ৫ নম্বর, এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি- ৫ নম্বর, সাক্ষাৎকার-৫নম্বর, অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে-৫ নম্বর রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন– বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকে সমর্থন করে ভারত: বিক্রম মিস্রি
তবে অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের ৫ পাঁচ নম্বর কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্যারা টিচারদের ক্ষেত্রে সরাসরি যুক্ত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ১ জানুয়ারি ২০২৫-এর মধ্যে প্রার্থীদের বয়স অনূর্ধ ৪০ হতে হবে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর, পরীক্ষার ২১ মাস পর প্রকাশিত হয়েছে ২০২৩ সালে প্রাথমিকের টেটের ফল। তার আগে ২০২২ সালেরও ফলপ্রকাশ হয়েছে। পাশ করেছিলে প্রায় ৫২ হাজার পরীক্ষার্থী। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে থাকায় গত বুধবার ২০২২ সালে টেট উত্তীর্ণেরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ঘেরাও করা হয় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। ২০২৩ টেট-এ উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র ৬,৭৫৪ জন পরীক্ষার্থী। প্রথম ১০-এ রয়েছেন ৬৪ জন। এই পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিলেন ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন। পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ১৪৭ জন। পাশের হার ২.৪ শতাংশ। ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণদের পাশাপাশি এবারের টেট উত্তীর্ণরাও নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সুযোগ নিতে পারবে।