অর্থাৎ, একটি ট্রাঙ্কে সব পরীক্ষার প্রশ্নপত্র রাখা হবে না। শুধু তাই নয় , এবার থেকেই প্রথম পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্রের সিল নিজেরাই খুলবেন। অর্থাৎ পরীক্ষার আগে কোনও ভাবেই প্রশ্নপত্রের সিল অন্য কেউ খুলতে পারবেন না। নয়া এই নিয়মের জন্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না বলেই মত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। পাশাপাশি, এবার প্রশ্নপত্রে থাকবে কিউআর কোড-এর ব্যবহার। প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হলে সঙ্গে সঙ্গেই তা ধরে ফেলতে পারবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতা মেট্রোয় বড় পোস্টে চাকরির সুবর্ণ সুযোগ, কারা আবেদন করতে পারবেন? রইল বিশদে
শুধু তাই নয় প্রশ্নপত্রের সুরক্ষা বজায় রাখতে প্রশ্নপত্রের প্রথম পাতা এবং শেষ পাতায় কোনও প্রশ্ন রাখা হবে না। অনেক ক্ষেত্রেই সোশ্যাল সাইটে প্রশ্নপত্রে প্রথম পাতা আবার শেষ পাতার ছবি ভাইরাল হবার ঘটনা নজরে এসেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। তাই প্রথম পাতা ও শেষ পাতা বাদ দিয়ে মাঝের পাতাগুলিতেই প্রশ্ন থাকবে পরীক্ষার্থীদের জন্য। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ডিএলএড পার্ট টু-এর পরীক্ষা আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে যেখানে প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন গোটা রাজ্য জুড়ে।
আরও পড়ুন: ঝাঁকে-ঝাঁকে ইলিশ, গোটা বছর এবার বাজার ভাসবে ইলিশে, সব রেকর্ড ভাঙতে তৈরি দিঘা! জানুন
অন্যদিকে, ডিএলএড পার্ট ওয়ানের পরীক্ষা শুরু হবে চলতি সপ্তাহ থেকেই যে পরীক্ষাতেও পরীক্ষা দেবেন প্রায় ৪২ হাজারের কাছাকাছি পরীক্ষার্থী। প্রসঙ্গত, পরীক্ষাকেন্দ্রে ইতিমধ্যেই ফ্রিসকিং-এর ব্যবস্থা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অর্থাৎ পরীক্ষার্থীদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক করা বায়োমেট্রিক স্ক্যান-সহ একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। আর এবার আরও একধাপ এগিয়ে প্রশ্নপত্রের সুরক্ষা নিয়ে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়