Hilsa Fish: ঝাঁকে-ঝাঁকে ইলিশ, গোটা বছর এবার বাজার ভাসবে ইলিশে, সব রেকর্ড ভাঙতে তৈরি দিঘা! জানুন

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা, পূর্ব ভারতের বৃহত্তম সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনের অন্যতম ক্ষেত্র। প্রতি বছর মাছ ধরার মরশুমে প্রতিদিন টন টন নানান ধরনের সামুদ্রিক মাছ উৎপাদন হয় দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে। বর্ষার সময় মূলত সমুদ্রের রুপোলি ফসল ইলিশের দিকেই নজর থাকে সবার।

কিন্তু বছরের পর বছর দিঘা মোহনায় ইলিশ সংরক্ষণ প্রশ্নচিহ্নের মুখে! এমনটাই অভিযোগ সাধারণ মানুষ থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীদের। তাই এবার ইলিশ মাছ সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ নিল দিঘার মৎস্যজীবী থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। শুধু ইলিশ মাছ নয়, এর পাশাপাশি অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের সংরক্ষণে উদ্যোগী তাঁরা।

ইলিশ মাছ জনপ্রিয় তার স্বাদের জন্য। চড়া দামে ইলিশ কিনে রসনা তৃপ্তিতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠা বোধ করে না ভোজনরসিক বাঙালি। ভাল সাইজের ইলিশ মাছ, চওড়া পেটি, সঙ্গে ডিম, তেল কত কিছুই যেন ভাবনা জাগে বাঙালির মনে। সেই সুপ্ত বাসনা দিন দিন হারাচ্ছে আম বাঙালির। বাজারে ইলিশ পাওয়া গেলেও চেনা গন্ধ ও স্বাদ উধাও ভোজন রসিক বাঙালির মুখ ভার! কারণ বাজারে ভাল মানের ইলিশ নেই।

একাধিক ইলিশের পদে আজ ভাঁটা পড়েছে। ভারতবর্ষে ২৩ সেন্টিমিটার ও ৫০০ গ্রাম ওজনের নিচে ইলিশ মাছ ধরা এবং বিক্রি করা সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই এবার বিশেষ জাল ব্যবহারে জোর দিঘা ফিশারমেন এন্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের। 

মাছের প্রজনন রক্ষা এবং ইলিশ রক্ষার্থে, এমনকী ছোট ধানি মাছ যাতে নিধন যাতে না হয় ডায়মন্ড সাইজ নেটের পরিবর্তে স্কয়ার নেট ব্যবহারের উপর জোর গুরুত্ব দিল দিঘা ফিশারম্যান এন্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন। একটি বিশেষ সেমিনার আয়োজন করা হয়। এই সেমিনারে মৎস্যজীবী, ট্রলার মালিক-সহ মৎস্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে যে বিষয়গুলি উঠে আসে, তা হল দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ যে জাল দিয়ে মৎস্য শিকার করা হয় তাতে বিশেষ করে ধানি বা মাছের প্রজনন নষ্ট হচ্ছিল। এমনকি খোকা ইলিশ ও এই জালের মধ্যে আটকা পড়ছিল তার ফলে খোকা ইলিশ যেভাবে নিধন ও মাছের প্রজনন ও নষ্ট হচ্ছিল। ফলে দিন দিন দিঘায় ইলিশ কমছে।

সেমিনারে মূলত ডায়মন্ড নেটের পরিবর্তে স্কয়ারনেট ব্যবহারের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এবং ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত টলার মালিকের এই জাল ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে দিঘা ফিশারমেন এন্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রণব কর বলেন, 'এটা আমরা পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করে দেখেছি, ইতিমধ্যে ওড়িশা ও অন্ধ্র এই স্কয়ার নেট ব্যবহার হচ্ছে মাছ শিকারে। পশ্চিমবঙ্গে দিঘা-সহ সমস্ত কেন্দ্রগুলিতে এই জাল যাতে ব্যবহার করে তার জন্য আমরা সবাইকে অনুরোধ করব।'

এই স্কয়ার নেট জাল ব্যবহার করার ফলে সমুদ্রের পরিবেশ বজায় থাকবে। তেমনই ছোট ধানি মাছ যেভাবে নিধন হবে না। পরবর্তীকালে এই ছোট মাছগুলি বড় হয়ে আবার মাছ শিকার ক্ষেত্রে অনেকটা কার্যকরী হবে। (সৈকত শী)