সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই বিষয়ে কলেজ সার্ভিস কমিশন-এর চেয়ারম্যান দীপক করের সঙ্গে বৈঠকও করেন বলে সূত্রের খবর। তার পরেই কলেজ সার্ভিস কমিশন অধ্যক্ষ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল।
রাজ্যে এই মুহূর্তে সরকার নিয়ন্ত্রিত কলেজ রয়েছে ৪৫০টি। ২০১৩ সালের আগে পর্যন্ত রাজ্যের কয়েকশো কলেজ অধ্যক্ষ ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল। যদিও ২০১৩ সালের পর থেকে চারবার কলেজ সার্ভিস কমিশন অধ্যক্ষ পদে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নিয়োগ করেছে।
advertisement
২০১৯-এর পর তিন বছর বাদে ফের মঙ্গলবার অধ্যক্ষ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করল কলেজ সার্ভিস কমিশন। বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন ইচ্ছুক প্রার্থীরা। এক মাস ধরে অনলাইনে আবেদনপত্র তোলা ও জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া করা যাবে।
কলেজ সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের ৮০টি কলেজে অধ্যক্ষের পদ ফাঁকা রয়েছে। প্রসঙ্গত, এবার কলেজ সার্ভিস কমিশন অধ্যক্ষ নিয়োগের একাধিক নিয়ম পরিবর্তন করেছে।
এবার এই প্রথম গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে। গত মার্চ মাসেই অধ্যক্ষ নিয়োগের আইনে পরিবর্তন এনেছিল উচ্চশিক্ষা দফতর।
এবার আবেদনকারীদের "রিসার্চ স্কোর" দেখা হবে। এর জন্য ১১০ নম্বর বরাদ্দ রয়েছে। যদিও এতদিন অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে একাডেমিক পারফরম্যান্স-এর উপর গুরুত্ব দেওয়া হত। কিন্তু এবার ইউজিসির নিয়ম মেনে আবেদনকারী প্রার্থীদের কতগুলি করে পাবলিকেশন রয়েছে, গবেষণা, সহ গবেষণা-সংক্রান্ত একাধিক বিষয়কে দেখা হবে। তার জন্য প্রত্যেকটি ক্যাটেগরিতে আলাদা করে নম্বর বিভাজন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ভেজাল ওষুধ রুখতে তৎপর রাজ্য, ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরি-সহ একগুচ্ছ পদক্ষেপ
কমিশনের আধিকারিকদের দাবি, এর ফলে একজন প্রার্থী গবেষণা ক্ষেত্রে কতটা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে তা যাচাই করা যাবে। যদিও এর দরুণ একাডেমিক স্কোরকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না তা ঠিক নয় বলেই দাবি কমিশনের আধিকারিকদের।
কমিশনের মতে, গবেষণার পাশাপাশি একাডেমিক স্কোরকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে আবেদনকারী প্রার্থীদের। এখনও পর্যন্ত ২০১৩, ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯- এই চার দফায় বিপুল পরিমাণে অধ্যক্ষ নিয়োগ হয়েছিল।
উচ্চশিক্ষা দফতর চাইছে, রাজ্যের কোনও কলেজেই যাতে অধ্যক্ষের পদ ফাঁকা না থাকে। তার জন্যই বাকি থাকা শূন্য পদগুলিতে দ্রুত অধ্যক্ষ নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত রাজ্যের। ইতিমধ্যে কলেজ সার্ভিস কমিশন-এর মাধ্যমে রাজ্যের কলেজগুলিতে সহকারি অধ্যাপক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন- অশনির প্রভাবে বৃষ্টি শুরু! আগামী ১-২ ঘণ্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা
উচ্চ শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের মতে, একদিকে অধ্যাপক, অন্যদিকে অধ্যক্ষ নিয়োগের ফলে কলেজগুলিতে পরিচালনার ক্ষেত্রে আরও গতি বাড়বে।