মূলত জানা গিয়েছে প্রথাগত শিক্ষার বাইরের বিভাগেও সিট ফাঁকা, আগ্রহ হারাচ্ছে ছাত্রসমাজ। জাতীয় স্তরের সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি হিসেবে পরিচিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় একসময় ছিল বিকল্প শিক্ষার পথিকৃৎ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত ভবন, কলাভবন, চাইনিজ, জাপানিজ, টিবেটিয়ান ভাষা বিভাগের মতো প্রথাগত শিক্ষার বাইরের নানা বিষয়ে শিক্ষাদানের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের সিদ্ধান্ত বদল, প্রাথমিকের প্রশ্নপত্র তৈরি করবে স্কুলই, কী কারণে পিছিয়ে গেল পর্ষদ?
একসময় যেখানে এসব বিভাগে ভর্তি হতে ছাত্রছাত্রীরা লাইন দিতেন, সেখানে আজ সিট পড়ে আছে ফাঁকা। সাম্প্রতিক CUET (Common University Entrance Test) পরীক্ষার ফলাফলের পর বিশ্বভারতীতে ভর্তির তালিকা প্রকাশ হতেই সামনে এসেছে উদ্বেগজনক চিত্র। সিট সংখ্যা থাকলেও অধিকাংশ বিভাগেই ভর্তির হার আশানুরূপ নয়। বিশেষ করে চাইনিজ, জাপানিজ, টিবেটিয়ান ইত্যাদি বিভাগে যা একসময় বিশ্বভারতীর গর্ব ছিল, সেখানেও ভর্তির হার অনেকটাই কম।
আরও পড়ুন: সুবর্ণ সুযোগ! ২০২৫ সালে বিনামূল্যে কোথায় পড়াশোনা করার সুযোগ? ‘FULL’ স্কলারশিপ নিয়ে বিশদে জানুন
শিক্ষা মহলের একাংশ মনে করছেন, এর মূল কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমাগত র্যাংকিং অবনমন। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও পড়াশোনা শেষ করার পর ভাল চাকরির সুযোগ, ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট এবং ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ফলে, ছাত্রছাত্রীরা অল ইন্ডিয়া র্যাংকিং-এ এগিয়ে থাকা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকেই ঝুঁকছেন। পুনরায় আবার স্বমহিমায় ফিরে আসুক বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চাইছেন সকলেই।
সৌভিক রায়