বর্তমানে এই বিমান সংস্থায় প্রায় ৪০০০ কর্মী রয়েছে। করোনাভাইরাসের অতিমারিতে উল্লেখযোগ্যভাবে বিমান সংস্থার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে ফের করোনার তৃতীয় তরঙ্গের জন্য নজিরবিহীন ক্ষতি হয়েছিল। যদিও গত বছরের শেষ মাসে এবং চলতি বছরের শুরুতে লোকসান কিছুটা মেটাতে পেরেছে সংস্থা।
এই পরিস্থিতিতে ভিস্তারার সিইও বিনোদ কানন (Vinod Kannan) স্বীকার করেছেন গত কয়েক মাস করোনা সংক্রমণের জেরে এই এয়ারলাইন্স যাত্রীদের প্রত্যাশা পূরণ করেনি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দ্রুত উন্নত মানের পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সংস্থার কর্ণধার। একগুচ্ছ নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন : ভারতীয় নৌবাহিনীতে ফার্মাসিস্ট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
তিনি মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "চলতি মাসে সাধারণ যাত্রীদের বাইরে বেরোনোর প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বহু মানুষ এই এয়ারলাইনকে বেছে নিচ্ছেন তাঁদের যাওয়া-আসার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে। আমরাও চেষ্টা করছি অতীতের মতোই আরও ভালো পরিষেবা দেবো আমাদের গ্রাহকদের। সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করে ভিস্তারা এয়ারলাইন্স পরিষেবা দেবে নিত্যযাত্রীদের। এয়ারলাইনটি একটি বহুমুখী কৌশল নিয়ে কাজ করছে। বর্তমানে আরও বেশি বিমান চলাচল করছে। কোভিড পরিস্থিতির আগে যেভাবেই বিমান পরিষেবা দেওয়া হত, সেভাবেই দেওয়া হবে। প্রতিদিন ২২০ থেকে ২৫০টি বিমান চলাচল করবে। করোনা পরিস্থিতির জন্য কিছুটা হলেও বিমান চলাচল থমকে গিয়েছিল। আমরা ক্রমাগত আমাদের পরিষেবা বৃদ্ধি করছি।"
আরও পড়ুন : ২ বছর অনলাইনে পড়াশোনার পর জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে? পরীক্ষার্থীদের উদ্বেগ দূর করতে টিপস
বিমানের যাত্রীদের আগের মতোই আমিষ খাবার দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে থাকবে আগের মতোই নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা। টাটা এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের যৌথ সহযোগিতায় ভিস্তারা জনসেবা দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরও বেশি বিমান চলাচল এবং ব্যবহারের মাধ্যমে পরিষেবা দেওয়ার জন্য কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। চলতি বছরের মধ্য়ে কর্মী বৃদ্ধি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। যাত্রী পরিষেবার চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে বিমান ভাড়া নেয় ভিস্তারা এয়ারলাইনস। করোনা মহামারির আগে যে বিমান সংখ্যা ছিল, অতিমারীর প্রাদুর্ভাবে সেই বিমান সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। যাত্রী পরিষেবার মান উন্নত করতে ফের পর্যাপ্ত বিমান পরিষেবা চালু করবে এই সংস্থা, জানিয়েছেন সংস্থার অধিকর্তা। ব্যাক অফিস কাজের জন্য কর্মীও নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
