হরিয়ানার বাসিন্দা দেবযানী বর্তমানে আইআরএস অফিসার৷ অফিসার হওয়ার পথটা মোটেই মসৃণ ছিল না তাঁর৷ চণ্ডীগড় থেকে তার দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনার পাঠ শেষ করেন তিনি৷ এরপর ২০১৪ সালে বিআইটিএস পিলানির গোয়া ক্যাম্পাসে যোগদান করেন এবং ইনস্ট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক করেন। স্নাতক হওয়ার পর থেকেই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন দেবযানী৷
advertisement
২০১৫ সালেই বসেন ইউপিএসসি পরীক্ষায়৷ তবে প্রথম প্রচেষ্টাতে ব্যর্থ হন তিনি৷ এরপর ২০১৬, ২০১৭ সালেও ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন৷ কিন্তু পরপর তিনবারই ব্যর্থ হন৷ প্রথম দুইবার ইউপিএসসি প্রিলিমসেই উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি৷ কিন্তু তৃতীয় প্রচেষ্টায় ইন্টারভিউ পর্যন্ত পৌঁছে যান৷ তবে, সেবার শেষরক্ষা হয়নি৷ অবশ্য হাল ছাড়ার পাত্রী মোটেই ছিলেন না হরিয়ানার এই তরুণী৷
চতুর্থবার ২০১৮ সালে ফের পরীক্ষায় বসেন দেবযানী৷ এবার ভাগ্য তাঁর সহায় ছিল৷ সফলভাবে ইউপিএসসিতে উত্তীর্ণ হন তিনি৷ দেশে তাঁর র্যাঙ্ক হয় ২২২৷ সেন্ট্রাল অডিট বিভাগে নিযুক্ত হন দেবযানী৷ কিন্তু এই বিভাগে চাকরি পাওয়ার পরও ভাল র্যাঙ্কের আশায় ফের কঠিন এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য মনস্থির করেন তিনি৷
আরও পড়ুন: জয়েন্টে ভাল ফলের রহস্য কী? সব জানালেন রাজ্যে অষ্টম বাঁকুড়ার সাগ্নিক
তবে, এবার তিনি সরকারী অফিসার৷ সেই সময় তাঁর ট্রেনিং চলছে৷ চাকরি সামলে সময় থাকে সপ্তাহে দুদিন, শনি ও রবিবার৷ তাই এই দুদিনেই পড়াশোনা করা শুরু করেন দেবযানী৷ যাঁরা ইউপিএসসির মতো কঠিন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা জানেন এই কাজ কত কঠিন৷ তবে, নিষ্ঠার সঙ্গে অধ্যয়ন করে ফের ২০১৯ সালে ইউপিএসসিতে বসেন দেবযানী৷ এবার আসে কাঙ্খিত ফলাফল৷ দেশের মধ্যে তাঁর র্যাঙ্ক হয় ১১৷ বর্তমানে তিনি আইআরএস অফিসার৷