মাত্র ২১ বছর বয়স সক্ষম গোয়েলের। আর এই বয়সেই রীতিমতো দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ফেলেছেন তিনি। প্রথম চেষ্টাতেই ইউপিএসসি উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে তিনি রাজস্থানের চুরুতে আইএএস প্রশিক্ষণার্থী পদে নিযুক্ত হয়েছেন। যদিও কোনও রকম কোচিং কিন্তু নেননি সক্ষম। নিজে পড়াশোনা করেই এই জায়গায় এসেছেন বলে দাবি তাঁর। ফলে তিনিই দেশের সমস্ত যুবক-যুবতীদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তাঁর কথায়, সাফল্য কখনওই কোনও বড় কোচিং সেন্টারের উপর নির্ভর করে না। বরং তা নির্ভর করে কঠোর পরিশ্রম ও কঠিন অধ্যবসায়ের উপর।
advertisement
আরও পড়ুন: এশিয়ার সেরার তালিকায় ভারতের কতগুলি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে? কলকাতা ও যাদবপুরের স্থান কত জানেন?
উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বাসিন্দা সক্ষম জানান, ২০১৫ সালে সেন্ট কনরেডস ইন্টার কলেজ থেকে দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় পাশ করেন তিনি। এর পর ২০১৭ সালে দিল্লি বসন্তকুঞ্জের ডিপিএস থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়াশোনা শেষ করেন। আর স্নাতক পর্যায়ে বেছে নিয়েছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং অর্থনীতির মতো বিষয়। কারণ রাজনীতিতে বরাবরই আগ্রহ এই তরুণের।
স্নাতকের শেষ বছর ২০২০ সাল থেকেই শুরু হয় সক্ষমের ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি। সক্ষম বলেন, “অনলাইনেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। রাতভর চলত পড়াশোনা। দুপুরে ঘুমিয়ে নিতাম আর সন্ধ্যাবেলায় একটু ঘোরাঘুরি করতাম। তবে প্রথম বার ইউপিএসসি-র ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে আসে বাধা। কারণ তখন কম বয়স ছিল আমার। কিন্তু পরের বছর সঠিক বয়স হতেই ফর্ম পূরণ করি।”
আরও পড়ুন: MBA পড়ুয়াদের জন্য বিরাট সুযোগ, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে চাকরির বাজারে মিলবে এই বিশেষ সুবিধা!
সেই ইন্টারভিউয়ের কথাও জানিয়েছেন সক্ষম। তিনি জানান, সেই ইন্টারভিউ চলেছিল বহু সময় ধরে। তাঁকে মোট ৩৫টি প্রশ্ন করা হয়েছিল। আর প্রতিটি প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পেরেছিলেন তিনি। তবে প্রথম প্রশ্নটাতে একটু অবাক হয়েছিলেন ওই তরুণ। কারণ প্রথম প্রশ্নেই তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তাঁর নামের অর্থ। এর পর ফল প্রকাশ হতে দেখা যায় সর্বভারতীয় স্তরে ২৭-তম স্থান অর্জন করেছেন সক্ষম।