উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে রাজ্যপালের অনুমতিক্রমেই এই নিয়োগ। আর যাকে ঘিরেই এবার জল্পনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি রাজভবন - রাজ্য সংঘাত উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে তীব্র আকার ধারণ করে। রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত ব্যাপক জায়গায় পৌঁছয়। শুধু তাই নয়, উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিরুদ্ধে বারবার সরব হতে দেখা যায় রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপালকে। রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ বেআইনি, ট্যুইট করে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় প্রাক্তন রাজ্যপালকে। রাজ্যের তরফে আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসার প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ হয়। যদিও সেই বিল এখনও রাজ্যপালেরই বিবেচনাধীন। আর সেই প্রেক্ষাপটেই নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ রাজ্যপালের অনুমতি নিয়েই করল রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর।
advertisement
মূলত বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য পদে এখনও রাজ্যপাল রয়েছেন ৷ আইন এমনটাই বলে। আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসার প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ হলেও তা এখনও আইন আকারে পরিণত হয়নি। অন্যদিকে মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্ট কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগকে বাতিল করতে বলেছে।যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতরের অন্দরে। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাবে নাকি রাজ্য, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। কিন্তু তারই মাঝে রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগ এক নয়া বার্তা দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে রাজ্যের আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য পদে সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরীর মেয়াদ চলতি সপ্তাহে শেষ হচ্ছে। এক্ষেত্রে রাজ্য কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেও তাকিয়ে শিক্ষা মহলের একাংশ।