আরও পড়ুনঃ ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ্যে! মাধ্যমিকে প্রশ্ন ফাঁসে আবারও শীর্ষে এই জেলার নাম! জানাল পর্ষদ
সঞ্চিতা প্রতিদিনই মায়ের কোলে করে চেপে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসে। খুব বেশি হলেও তাঁর দৈর্ঘ্য মাত্র দু-ফুট। দাঁড়ানো তো দূরের কথা, ঠিক মতো সে বসতেও পারে না। হাঁটতে পারে না একেবারেই। ১০০ শতাংশ প্রতিবন্ধী সে।কিন্তু শুনতে ও লিখতে পারে সে। ছবি আঁকাতে সঞ্চিতা পারদর্শী। বড় হয়ে সে চিত্রশিল্পী হতে চায়।
advertisement
অন্যদিকে মুক্তা দাস একেবারে মুখ বধির। শুনতেও পায় না, কথাও বলতে পারে না। ১০০ শতাংশ প্রতিবন্ধী সে। কিন্তু ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার প্রতি তারও আগ্রহ প্রবল ছিল। তবে কিভাবে মুক্তা পড়াশুনা করবে তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না পরিবারের লোকজন। প্রথমে পরিবারের লোকজন তাঁকে অক্ষর চেনান। এরপরই শুরু হয় তার লড়াই। স্কুলে গিয়ে ক্লাসও করত।
শিক্ষকেরা পড়ালে, মুক্তা মুখ নাড়া দেখে বোঝার চেষ্টা করত। বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাকে। সেভাবেই সে পরীক্ষা দিচ্ছে। এত কিছু বাধা থাকার পরেও অদম্য জেদ এই দুই মেয়ে কে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে প্রেরনা জুগিয়েছে। আগামীতে তারা আরও বড় জায়গায় যাক এটাই চাইছেন সকলে।
নবাব মল্লিক