মন ভালো রাখতে বোর্ড গেমস –
আরও অনেকের মতোই, কোভিড-19 সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য গোটা দেশে জারি করা লকডাউনের মধ্যে বাড়িতেই দিন কেটে যাচ্ছিল কোচির বাসিন্দা 11-বছরের বীর কাশ্যপের। তবে সে শুধু বসে থাকেনি, বীর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেশ অন্য রকম কিছু তৈরি করার উদ্যোগ নেয় – সে তৈরি করেছে নিজস্ব একটি বোর্ড গেম, যার নাম হল ‘করোনা যুগ’। এই খেলাটিও অন্য যে কোনও বোর্ড গেমের মতো আকর্ষণীয়, তবে এই গেমের বিশেষত্ব হল, এটি খেলার সাথে সাথে খেলোয়াড়রা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত নির্দেশ এবং নিয়ম শিখে নিতে পারবে।
advertisement
এই আবিষ্কারের জন্য সে 2021 সালে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার লাভ করেছে ইনোভেশন ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য এবং 2021সালে ইন্ডিয়ান অ্যাচিভার্স ফোরাম দ্বারা আয়োজিত ইয়ং অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড-ও পেয়েছে।
অ্যামাজনে করোনা যুগ বিক্রি করার পরে বীর নিজের মধ্যে উদ্যোগপতি হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা খুঁজে পেয়েছে এবং তারপরে সে নিজস্ব একটি কোম্পানি তৈরি করেছে যার নাম হল ABCD, মূলত অ্যাপ, বোর্ড, কার্ড এবং ডাইস অনুযায়ী এই নামকরণ করা হয়েছে। সে ইতিমধ্যে আরও কয়েকটি গেম তৈরির কাজ করছে। এর মধ্যে আরও একটি গেমের নাম হল ট্যুর দে গোয়া; 16.12.1971, এই গেমটি তৈরি করা হচ্ছে 1971 সালের যুদ্ধের 50তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে। এছাড়া নৌ-যুদ্ধ নিয়ে সে আরও একটি গেম তৈরি করছে, নৌকাবারা নামের এই গেমটি তৈরি করা হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলের কৌশলের উপরে ভিত্তি করে।
এই এপিসোডে বীর তার আবিষ্কার করা গেম খেলবে হোস্ট আনন্দ নরসিংহ এবং অতিথি মৌনী রায়ের সাথে, এই দুই জনই এই খুদের আবিষ্কার করা গেম খেলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। 11 বছরের ছেলেটি এরই মধ্যে ছয়টি গেম তৈরি করে ফেলেছে, বীরের গল্প একই সাথে অসাধারণ এবং অনুপ্রেরণামূলক।
মাত্র 13 বছর বয়সে বোর্ডের পরীক্ষায় পাশ –
যে বয়সে অধিকাংশ কিশোর-কিশোরী বুঝতে পারে না যে তারা জীবনে কী করতে চায়, সেখানে ইন্দোরের বাসিন্দা 14-বছরের তানিষ্কা সুজিত নিজের জীবন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। তানিষ্কার জীবনের লক্ষ্য হল ভারতের কনিষ্ঠতম প্রধান বিচারপতি হওয়া এবং তার মাধ্যমে দেশের মহিলাদের জীবনের মান উন্নত করা।
বরাবরই ছোট বয়সে বড় বড় কাজ করতে ভালোবাসে তানিষ্কা। সেই ধারা বজায় রেখেই সে মাত্র 12 বছর বয়সে 10ম শ্রেণীর পরীক্ষায় পাশ করেছে 65% নম্বর-সহ, তারপরে মাত্র 13 বছরে সে 12তম শ্রেণীর পরীক্ষায় পাশ করেছে ফার্স্ট ডিভিশনে এবং সেই একই বছরে সে সাইকোলজি বিষয়ে ব্যাচেলর অফ আর্টস ডিগ্রী করার জন্য কলেজে ভর্তি হয়েছে!
এই যাত্রার মাঝেই, মধ্যপ্রদেশ বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন দ্বারা আয়োজিত পরীক্ষায় পাশ করা সর্বকনিষ্ঠা হিসেবে তানিষ্কা 2020 সালে নিজের নাম তুলেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। এই একই সাফল্যের জন্য তাকে এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসে ‘গ্র্যান্ড মাস্টার’ শিরোপা জিতে নিয়েছে।
এদিনের এপিসোডে এই কিশোরীর উচ্ছ্বল মনোভাব এবং অদম্য জীবনীশক্তি দেখলে প্রত্যেকে অনুপ্রাণিত হবেন। বয়সে ছোট যারা এখনও কোনও বোর্ডের পরীক্ষা দেয়নি তারা মনে ভরসা পাবে যে, বোর্ডের পরীক্ষা দেওয়া মানেই জীবনের সবচেয়ে কঠিন কাজ নয়। বরং যদি কেউ পড়তে ভালোবাসে, তাহলে বই তাকে শুধু সেই ভালোবাসা ফিরিয়ে দেবে না, বরং তাকে নানা রকমের সুযোগ দিয়ে পুরস্কৃত করবে, ঠিক যেটা হয়েছে তানিষ্কার ক্ষেত্রে।
বোর্ড গেম থেকে শুরু করে বোর্ডের পরীক্ষায় বাজিমাত, এই #BYJUSYoungGenius এর এই এপিসোড দেখলে মন ভালো হয়ে যাবে। বীর এবং তানিষ্কাকে নিয়ে তৈরি এই এপিসোড এখনই দেখে নিন।