অন্যদিকে, আজকের দুই তরুণ জিনিয়াস শুধুই নিজেদের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করেনি বরং এই অল্প বয়সেই এত কিছু অর্জন করেছে যা দেখে বড়রাও অবাক হবেন। আর এটা সম্ভব হয়েছে তাদের মনোবল এবং কিছু করে দেখানোর জেদের ফলে। সিম্রন শর্মা এবং আবদুল কাদির ইন্দোরির অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী জেনে নিন এখানে।
advertisement
সিম্রন সিংহের সাথে লক্ষ্যভেদ –
সিম্রন সিংহের বয়স মাত্র 13 বছর, কিন্তু এই এই বয়সেই সে নিজের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে ফেলেছে। সিম্রন যেন পার্বত্য নদীর মতোই চঞ্চল, সে শুটিংয়ে সিম্রন কেরিয়ার শুরু করেছিল মাত্র নয় বছর বয়সে, সে ব্রোঞ্জ এবং সোনার মেডেল জিতেছে, শৈমক দাভারের ট্রুপে নাচ করেছে এবং খ্যাতি অর্জন করেছে, এবং পাশাপাশি পিয়ানো ও উকুলেলে বাজাতেও সে সিদ্ধহস্ত।
তার এত রকম গুণের কথা শুনলে ভুলে যেতে হয় যে মাত্র নয় মাস বয়সে সিম্রনের মেরুদণ্ডে একটি বড় রকমের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। সার্জারির পরে গলার নীচ থেকে তার সারা শরীর অসাড় হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু টানা ফিজিওথেরাপি, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ও স্টেম সেল ট্রিটমেন্ট চলার পরে এবং তার অদম্য ইচ্ছাশক্তির জেরে এখন কোমরের নীচ থেকে সে অনেকটাই স্বাভাবিক।
একটি স্কুল ক্যাম্পে গিয়ে সে শুটিং শুরু করে, তারপর থেকে সিম্রনের দক্ষতা দেখে সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছেন। প্রথম ন্যাশনাল প্যারা শুটিং চ্যাম্পিয়ানশিপ (মার্চ 2021)-এ সে S H -1 ক্যাটাগরিতে 10 মিটারে ব্রোঞ্জ মেডেল জিতেছিল। এছাড়াও সে 2021 সালে জোনাল প্যারা শুটিং কম্পিটিশনে 1টি সোনা এবং 2টি রুপোর মেডেল জিতেছে। গত বছর পেরু-তে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড শুটিং প্যারা স্পোর্ট ওয়ার্ল্ড কাপ (জুন 2021) এবং সার্বিয়াতে আয়োজিত WSPS ওয়ার্ল্ড কাপ (জুলাই 2021)-এ অংশগ্রহণ করার জন্য সে নির্বাচিত হয়েছিল, কিন্তু আর্থিক সমস্যা এবং কোভিড-19 সম্পর্কিত অনিশ্চিয়তার কারণেযাওয়াহয়নি।
এই খুদে জিনিয়াসের ভক্তদের মধ্যে নাম রয়েছে পেশাদার স্পোর্ট শুটার অঞ্জলি ভাগবত, যিনি সিম্রনের এনার্জি এবং মনোবল দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। শুধু ভাগবতই নন, জুরি সদস্য পুল্লেলা গোপিচাঁদ-ও সিম্রনের ফ্যান হয়ে গিয়েছেন। তিনি আশা করছেন এই খুদে জিনিয়াস পরবর্তী টার্গেট – অর্থাৎ 2024 সালের প্যারিস প্যারালিম্পিক্সে ভারতের জন্য সোনা জিতে নিয়ে আসবেন।
আবদুল কাদির ইন্দোরির সাথে সাঁতার –
2014 সালে একটি ইলেকট্রিক শক-জনিত দুর্ঘটনার জেরে 14-বছরের রাতলাম বাসিন্দা আবদুল ইন্দোরী তার দুই হাত হারায়। এক বছর পরে, সে সাঁতার শিখতে শুরু করে এবং তিন মাসের মধ্যে সে প্রথম মেডেল জিতে নেয়, 2015সালেবেলগাঁওম-এ আয়োজিত ন্যাশনাল প্যারা সুইমিং চ্যাম্পিয়ানশিপে সে সোনার ও রুপোর মেডেল জেতে।
তারপর থেকে, সে 2016 এবং 2017 সালে যথাক্রমে 2টি সোনা এবং 1টি রুপো জিতেছে। গত বছরে, সে বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত ন্যাশনাল প্যারা সুইমিং চ্যাম্পিয়ানশিপে তিন রকম স্টাইলের সুইমিংয়ে পারদর্শী আবদুল মোট 3টিসোনার মেডেল জিতেছিল।
আবদুলের দুষ্টুমি এবং ছেলেমানুষির কিছু ঝলক এই এপিসোডে ফুল ডিসপ্লে-তে দেখা যাবে। তার আত্মীয়া এবং বোনের সাথে খুনসুটি দেখতে দেখতে এই এপিসোডের সার্থকতা বোঝা যায়। তার সাফল্যে দেখে এবং ভবিষ্যতে প্যারা অলিম্পিকে গিয়ে ভারতের জন্য সোনার মেডেল জেতার স্বপ্ন দর্শকদের পাশাপাশি, জুরি সদস্য গোপিচাঁদ-কেও অনুপ্রাণিত করেছে।
এই খুদে জিনিয়াসদের দক্ষতা এবং প্রতিভা দেখে সকলেরই তাক লেগে যায়, কিন্তু সিম্রন এবং আব্দুলের মতো গুণী খুদেরা শুটিং এবং সাঁতারের মতো কঠিন বিষয়ে পারদর্শী হয়ে ওঠার পাশাপাশি নিজেদের অন্য রকম উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। তাদের দেখ সব সময়েই মনে হয়, আমরা কত ভাগ্যবান এবং নিজেদের মেধা ও প্রতিভার সঠিক বিকাশ ঘটালে আমরাও কত কিছু অর্জন করতে পারি।
এগিয়ে যাওয়ার জেদ আপনার মন জয় করে নেবে এবং শুধু এই কারণেই এই ভিডিওটি বারবার দেখা যায়। তাই এটি দেখতে থাকুন এবং আমরা আরও কয়েক জন খুদে জিনিয়াসের সাথে ফিরে আসছি #BYJUSYoungGeniusSeason2–এর পরের এপিসোডে।