এতদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে এই ধরনের কোন নির্দেশিকা ছিল না বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর। এর পাশাপাশি পর্ষদের তরফে আরও জানানো হয়েছে একজন টেট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী নিজের স্কোর বাড়ানোর জন্য ফের টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট দিতে পারেন। এক্ষেত্রে সেই পরীক্ষার্থীর ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন : তৈরি হবে 'শিশু সংসদ'! স্কুলে স্কুলে পাঠানো হচ্ছে ৯ দফা গাইডলাইন! কী রয়েছে সেই গাইডলাইনে
advertisement
প্রসঙ্গত টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেটের স্কোর প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই নির্দেশিকার জেরে চাকরিপ্রার্থীদের আরও সুবিধা হল বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষত এই নির্দেশিকার জেরে আরও বহু সংখ্যক পরীক্ষার্থী নতুন করে টেট দিতেও চাইবে বলেও দাবি করছেন পর্ষদের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই টেটের আবেদন পত্র কয়েক লক্ষ ছাড়িয়েছে বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর। আগামী ৪ঠা নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে প্রাথমিকের টেট দেওয়ার জন্য। ১১ ডিসেম্বর হবে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা। ইতিমধ্যেই টেটের আবেদন পত্র ৩ লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছে বলেই পর্ষদ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন : রাজ্য জুড়ে স্কুলে স্কুলে এবার 'শিশু সংসদ'! আট দফা গাইডলাইন জারি স্কুল শিক্ষা দফতরের...
তবে সাম্প্রতিক সময় একাধিকবার নির্দেশিকা বদলের জেরে সেই আবেদনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন পর্ষদের আধিকারিকরা। শেষবার টেট হয়েছিল ২০২১ সালের ৩১ এ জানুয়ারি। এই টেটের এর আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল আড়াই লক্ষ। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টেটের সিলেবাস কেমন হবে তা নিয়ে ও বিস্তারিত নির্দেশিকা সম্প্রতি দিয়েছে। ১৫০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। ১৫০ টি প্রশ্নের উত্তর ১৫০ মিনিটেই করতে হবে। থাকবে না কোনো নেগেটিভ মার্কিং।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়