রবিবার শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "এটা একটা গণ উৎসবের মত হয়েছে। একটা দল চেষ্টা চালাচ্ছিল যাতে আমাদের পরীক্ষা বানচাল হয়। একদল সত্যি চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যে ভাবে পরীক্ষা সংগঠিত হয়েছে তাতে তাদের কাছেও বার্তা পৌঁছবে বলেই দাবি ব্রাত্য বসুর। একইসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি খারিজ করে ব্রাত্য বলেন, "কোনও প্রশ্ন ফাঁস হয়নি, কোনও প্রশ্নপত্র লিক হয়নি।" তিনি এও বলেন, "সবাই হয়তো চাকরি পাবেন না। এটা আজ আমাদের একটা প্রাথমিক পদক্ষেপ হল।নিয়োগের ব্যাপারে আদালতের হস্তক্ষেপে আমরা যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেব।"
advertisement
আরও পড়ুন: টার্গেট ২০২৪! এবার লোকসভা নির্বাচনে ঝাঁপাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ
রবিবার নির্বিঘ্নে শেষ হল প্রাথমিকের টেট। কোথাও কোন প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি শিক্ষামন্ত্রীর। আর এই প্রাথমিকের টেটকে স্বচ্ছ ভাবে নেওয়ার জন্য স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও দেওয়া গেছে বলেই মনে করছে শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এ দিন বলেন "দফতর সম্পর্কে অন্যরকম ভাবমূর্তি তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। আশা করি এই পরীক্ষা একটা বার্তা দেবে।" সাম্প্রতিক সময় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ই ডি, সিবিআই মত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি তদন্ত করছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন।নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাল হয়েছে। রবিবারের এই প্রাথমিক টেটকে কেন্দ্র করেই এবার ইতিবাচক বার্তা দিতে চায় রাজ্য সরকার।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে এবার এই পরীক্ষাকেই হাতিয়ার করে প্রচারের ইস্যু হিসেবে তুলে ধরতে পারে শাসক দল। রবিবারের প্রাথমিকের টেটকে নির্বিঘ্নে পরিচালনা করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে পর্ষদ। বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স, মেটাল ডিটেক্টর, ফ্রিস্কিং সহ করা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পর্ষদ। প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন এই পরীক্ষার জন্য। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন "এই পরীক্ষা গণ উৎসবের মত হয়েছে। তবে কেউ কেউ পরীক্ষা বানচালের চেষ্টা করছিল।"
আরও পড়ুন: ভাঙনে জেরবার দীঘা মোহনা, এবার পরিদর্শনে যাচ্ছেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক
শিক্ষামন্ত্রী এদিন এই ইঙ্গিত দিয়ে দেন এবার নিয়োগের ব্যাপারেও এগোতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন " এটা আজ আমাদের প্রাথমিক পদক্ষেপ হল। নিয়োগের ব্যাপারে আমরা আদালতের হস্তক্ষেপ নিয়েই করব।"
প্রসঙ্গত প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদ ১১ হাজার এরও বেশি রয়েছে। ৪০ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে এই নিয়োগের জন্য।পর্ষদ সূত্রে খবর ডিসেম্বরের তৃতীয় বা বড়দিনের ছুটির আগেই ইন্টারভিউ শুরু করতে চায় পর্ষদ। রবিবারের টেট শেষ হওয়ার পর এবার সেই প্রস্তুতি নিতে চাইছে পর্ষদ।তবে পরীক্ষাকে বানচাল করার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলেও এদিন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেন। বিরোধীদের দিকেই এই অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিন অবশ্য পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে দু-একটি ছোট বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। যদিও D.L.ED পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে সোশ্যাল সাইটে বেরিয়ে যাওয়ার জেরে টেটের প্রশ্নপত্র নিয়ে এবার নদীর বিহীন পদক্ষেপ নিয়েছিল পর্ষদ। তবে এদিন পরীক্ষা শুরুর আগেই একটি ভুয়ো প্রশ্ন পত্র ছড়িয়েছিল বলেই অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রী। যদিও এই বিষয় নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়