বুধবার পূর্ব বর্ধমানের কুড়মুনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। ভোটের প্রার্থী পড়ুয়ারা। ভোটারও তারাই। যারা জয়ী হল, বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব অনেকটাই থাকল তাদের কাঁধে।
আরও পড়ুন: স্কুলের পোশাক নয়, লাল পাড় সাদা শাড়ি পরে মাধ্যমিক দিতে এল ছাত্রী! সব শুনে হতবাক পরীক্ষক
কুড়মুনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজীব কুমার হুই বলেন, ‘বিদ্যালয় পরিচালনায় এই শিশু সংসদের গুরুত্ব অনেক। সংসদীয় গণতন্ত্রের সাথে পরিচয় ঘটানো এবং মূল্যবোধের সঙ্গে নেতৃত্ব দান, দায়িত্ববোধ, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি- এর মূল উদ্দেশ্য। ভোটদানের গুরুত্ব, নির্বাচনের অভিজ্ঞতা এগুলো মাথায় রেখে আমাদের বিদ্যালয়ে এই নির্বাচন করা হয়।’
advertisement
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই নির্বাচন উপলক্ষে বিদ্যালয়কে ফুলের গাছ, পতাকা, ব্যানার, ফ্লেক্স দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। ভোট কক্ষও সুন্দর করে সাজানো হয়। এক কথায় মডেল পোলিং স্টেশন বলতে যা বোঝায়, তাই করা হয়েছিল। ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, মনোনয়ন পত্র দাখিল করা, পোলিং এজেন্ট, ভোটার তালিকা, ব্যালট পেপার, ভোট কক্ষ, ব্যালট বাক্স, গণণা, প্রেস কনফারেন্স, সার্টিফিকেট প্রদান থেকে শপথ নেওয়া সবটাই হয়, যেভাবে আমাদের সাধারণ নির্বাচনে হয়।
প্রত্যেকেই স্কুলের পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দিয়েছে। ভোট কক্ষের বাইরে শিশুদের দিয়ে পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়। স্কুল প্রাঙ্গনে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র রাখা হয়। নির্বাচন উপলক্ষে একদিন টিফিনের পর কর্মশালার আয়োজন করা হয়। হাতে কলমে শিশুদের ভোটদান অভ্যাস করানো হয়।
বুধবার প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা ভোট দেয়। মোট ভোটার ছিল ১৪৫ জন। এর মধ্যে বালক 88 জন, বালিকা ৫৭ জন । নির্বাচিত প্রত্যেক মন্ত্রীকে কার্ড ও সাদা টুপি পরিয়ে বরণ করা হয়। মন্ত্রীদের শংসাপত্র দেওয়া হয় ও শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। তারা ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয় পরিচালনায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবে।
ভোট দিয়েছে ১১৪ জন। এর মধ্যে বালক ৬৯, বালিকা ৪৫ জন। নোটায় ভোট পড়েছে সাতটি। সবথেকে বেশি ৩৪ টি ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছে অদ্রিজা দাস । শেখ আসিফ ৩২ টি ভোট পেয়ে শিক্ষা ও পরিবেশ মন্ত্রী, পাপড়ি দাস ১৫ টি ভোট পেয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মেহেক খাতুন ১৫টি ভোট পেয়ে খাদ্য মন্ত্রী, সুশীলা মুর্মু ১১টি ভোট পেয়ে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে।
