আরও পড়ুনঃ ভিন রাজ্যের হস্টেলে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু! পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা মুখ্যমন্ত্রীর
পরিবারের অভিযোগের তির প্রতিবেশী এক সিনিয়র পডুয়ার দিকে। এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকার। গত জুলাই মাসের শেষে দেহ উদ্ধার হলেও এখনও গ্রেফতার করা হয়নি কেউকেই। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। অভিযোগ, গত ২৭ শে জুলাই এফআইআর করা হলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি এখনও। অভিযোগ দুই সিনিয়রের বিরুদ্ধেও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং-এর কারণে প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য তখনই উঠল কাকদ্বীপের ওই ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রসঙ্গ।
advertisement
এই ঘটনায় প্রতিবেশী এক সিনিয়র পড়ুয়ার বিরুদ্ধে হেনস্থা, শাসানি, বাড়িছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়। পাশপাশি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগ দায়ের মৃত ছাত্রের পরিবারের। ১৬ জুলাই বাড়ির মধ্যেই ঝুলন্ত অবস্থায় ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
পুরো ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ পরিবারের। মৃত ছাত্র স্থানীয় কাকদ্বীপ সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। অন্তত্য মেধাবী ছিল ওই ছাত্র। মৃত ছাত্রকে প্রায়শই উত্যক্ত করার অভিযোগ এক সিনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে। গত কয়েক মাস ধরে লাগাতার হেনস্থা ও হুমকি চলতে থাকে। জুলাই মাসের শুরুতে মৃত ছাত্রের ওপর জুলুম চরমে ওঠে। প্রতিবাদ করেন ওই পড়ুয়া। প্রতিবাদ করায় সিনিয়রের রোষানলে পড়তে হয় ওই ছাত্রকে। এরপর এক সিনিয়র পড়ুয়ার পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করানো হয় মৃত ছাত্রকে। সেই ভিডিও একাধিক সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয় এক সিনিয়র। এরপর থেকে অবসাদে ভুগতে থাকে ওই ছাত্র। স্কুলে যেতেও ভয় পাচ্ছিল। গত ১৬ জুলাই বেলায় বাড়ির মধ্যে থেকে ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
স্কুলপড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মৃতের বাবা ও মা কাকদ্বীপ SDPO দারস্থ্য হলেন। পাশাপাশি এই ঘটনার খবর সম্প্রচার হওয়ার পর কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। এই বিষয়ে SDPO প্রসেনজিৎ ব্যানার্জি জানান, “যেহেতু এই ঘটনার সঙ্গে নাবালকেরা জড়িয়ে রয়েছে এবং এই বিষয়ে জুলাই মাসের শেষের দিকে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, কিছু তথ্য আমাদের হাতে এসেছে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ শিক্ষক সামিন হোসেন মোল্লা বলেছেন, ‘খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। হওয়ার আগে পর্যন্ত আমি কিছুই জানতাম না। তবে, এই ঘটনায় যারা দোষী বা জড়িত রয়েছে, অবশ্যই তারা যেন শাস্তি পায়।’
বিশ্বজিৎ হালদার