এরই সঙ্গে এসএসসি-র পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ফের আবেদনের পোর্টাল চালু করার কথাও। সেই অনুযায়ী ২৩ অগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘যোগ্য’ শিক্ষকেরা নতুন করে আবেদন জানাতে পারবেন। উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রায় ৫ লক্ষ ৮৩ হাজার পরীক্ষার্থী চলতি বছর নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় বসতে চলেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘কালো বিল’, ‘SIR থেকে নজর ঘোরাতেই…’! সংসদে সংবিধান সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ তৃণমূলের
যাঁরা আগামী ১০ দিনের মধ্যে আবেদন জমা দেবেন, তাঁরা ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোডের সুযোগ পাবেন। তবে, যাঁরা আগেই আবেদন করেছেন, কিন্তু অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারেননি, তাঁদের নতুন করে আবেদন জানাতে হবে না।
নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্তই নেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তাই এই সূচি কোনও ভাবেই পরিবর্তন করা হবে না, জানিয়েছে এসএসসি।
অন্য দিকে, পরীক্ষা প্রস্তুতি নিয়েও একাধিক বিধি জারি করা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রশ্নপত্র পাঠানোর সময় একজন সরকারি আধিকারিক উপস্থিত থাকবেন। প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ফ্রিস্কিং অর্থাৎ দেহ তল্লাশির ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি ছাড়া কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।
শুক্রবার মুখ্য সচিব স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই স্কুল শিক্ষা দফতরকে প্রস্তুতি নিয়ে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, পরীক্ষার দিনগুলিতে পরীক্ষার্থীরা যাতে সহজে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেন, সে জন্য বিশেষ প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে রেলের কাছে নির্দেশিকা পাঠাবে রাজ্য। বন্যা বা প্রবল বৃষ্টি হলে পরীক্ষা কেন্দ্র ও তার পাশ্ববর্তী এলাকায় যাতে জল না জমে, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন জেলাশাসকেরা। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষাকেন্দ্র সংক্রান্ত সমস্যার জন্য দ্রুত এসএসসিকে জানাতে হবে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়