একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শ, রায়ের আইনি ব্যাখ্যা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনও করতে পারেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা৷ একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, মানবিক ভাবে এবং রাজনৈতিক ভাবে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের পাশে রয়েছে রাজ্য সরকার৷
আরও পড়ুন: ‘২০১৬-তে কারা মন্ত্রী ছিলেন, আমরা দেখব!’ চাকরি বাতিলের নির্দেশে পাল্টা শুভেন্দুকেই হুঁশিয়ারি মমতার?
এক ধাক্কায় ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষকের চাকরি যাওয়ায় রাজ্যের স্কুলগুলিতে আচমকা সঙ্কট তৈরি হয়েছে৷ বহু স্কুলেরই একাধিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে৷ অনেক স্কুলে স্বাভাবিক পঠনপাঠন চালু রাখাই মুশকিল হচ্ছে৷
advertisement
এই সমস্যার মোকাবিলা কীভাবে করা হবে, যাঁরা যোগ্য হয়ে চাকরি হারালেন তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন কি না, এই প্রশ্ন করা হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে৷ জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এর উত্তর তো দিতে পারবো না। যা বলার মুখ্যমন্ত্রী তো গতকাল বলেছেন৷ আমার দায়িত্ব থেকে বলতে পারি মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন বঞ্চিত ও যোগ্য যাঁরা আছেন, মানবিক ও রাজনৈতিক ভাবে থাকব।’
একই সঙ্গে যোগ্য এবং অযোগ্যদের পৃথকীকরণ করে এসএসসি আদালতকে তথ্য দেয়নি বলে যে অভিযোগ উঠছে, তাও পুরোপুরি মানতে চাননি শিক্ষামন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টই বলে দিয়েছে কাদের বেতনের টাকা দিতে হবে, কাদের দিতে হবে না৷ এসএসসি-র দেওয়া তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ প্রধান বিচারপতির রায়ে যোগ্য অযোগ্যদের একটা ভাগাভাগি আমরা দেখতে পাচ্ছি৷ কিন্তু এসএসসি-র দেওয়া তথ্যে হয়তো সুপ্রিম কোর্ট সন্তুষ্ট হতে পারেনি৷’