নলহাটিতেই বাড়ি সোমার। নলহাটির মধুরা হাই স্কুলে নবম-দশম শ্রেনীর শিক্ষকের পদে তাঁকে সুপারিশ করল কমিশন। এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সোমাকে নিয়োগপত্র দিলে, শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেবেন সোমা। অর্থাৎ শিক্ষিকা হিসেবে নিজেরই বাড়ির কাছে শিক্ষিকা সোমার কাজে যোগদান কার্যত শুধু সময়ের অপেক্ষা।
advertisement
ক্যান্সার আক্রান্ত আন্দোলন মঞ্চে, সংবাদমাধ্যমে এই খবর জানতে পারেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরেই স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করে সোমা দাসের সঙ্গে কথা বলার জন্য আদালত বান্ধব নিযুক্ত করে হাইকোর্ট। আদালতবান্ধবরা আদালতে রিপোর্ট দেয়, সোমা দাস ক্যান্সার আক্রান্ত এবং আন্দোলন মঞ্চে রয়েছেন, এটাও সত্যি, তাঁর চিকিৎসার জন্য কয়েক লক্ষ টাকার খরচ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সোমাকে এজলাসে ডেকে পাঠান। সেখানে তিনি জানান, সকল যোগ্যকে চাকরি দিক সরকার। তাঁর জন্য বিশেষ সুবিধার প্রয়োজন নেই।
এরপর আদালতে আইনি পথে আবেদন করেন, সোমা দাস। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়ে জানান, রাজ্যের মানবিক দৃষ্টিতে বিষয়টি দেখা উচিত। চাকরি না পেলে সোমা নিজের চিকিৎসার বিপুল পরিমাণ টাকা জোটাতেও অক্ষম হবে। হাইকোর্টের মানবিক নির্দেশের পর এগিয়ে আসে রাজ্যও। তারপরই এবার নিয়োগ সুপারিশ পত্র হাতে পেলেন সোমা।
আন্দোলন জয় এনে দিয়েছে আজ তাঁকে। তাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সেই আন্দোলনের পাশেই থাকছেন সোমা। সোমা দাসের কথায়, "আন্দোলন ছাড়া আমি এই চাকরির সুপারিশ পত্র পেতাম না। কাজেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি থাকবো সবসময়।"
একইসঙ্গে চাকরি পেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভগবানের আসনে বসালেন ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষিকা সোমা দাস। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য, সকল বঞ্চিত প্রার্থীদের জন্য সুবিচার বন্দোবস্ত করবেন এমনটাই আশা সোমার। "সোমা যোগ্যই ছিল, তাঁর মতনই অনেক যোগ্য প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য আরও আইনি লড়াই লড়তে আমি প্রস্তুত", জানাচ্ছেন সোমার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।