সেক্ষেত্রে ৪ ডিসেম্বর এর পরেই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে নবম দশমের শিক্ষক নিয়োগের বলেই কমিশন সূত্রে খবর। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের প্রশ্ন নবম-দশমের ঘোষিত শূন্যপদ কি অপরিবর্তিত থাকবে? না কি একাদশ-দ্বাদশের মতো শূন্যপদ কমে যাবে?
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, নবম দশমে শিক্ষক নিয়োগের শূন্যপদ খুব বেশি কমার সম্ভাবনা নেই। শিক্ষা দফতরের কর্তা জানান, নতুন নিয়োগের তোড়জোড় চলছে। পাশাপাশি ২০১৬ সালে চাকরিহারাদের ফেরানো হচ্ছে পুরনো চাকরিতে। সেখানে তাঁরা যে স্কুলে চাকরি করতেন, সেখানে তৈরি হচ্ছে শূন্যপদ। কিন্তু আধিকারিকরা স্বীকারও করছেন, এই শূন্যপদ সৃষ্টির ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে। একাদশ-দ্বাদশে পুরনো চাকরি প্রার্থীরা যত জন ফিরে গিয়েছিলেন, ততগুলি শূন্যপদ তৈরি করা যায়নি। তাই ৬৯ শূন্যপদ কমে গিয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: ২৩,২১২ শূন্যপদের জন্য SSC-র নবম-দশমের ফল প্রকাশিত, কমিশনের ওয়েবসাইটে কীভাবে রেজাল্ট দেখবেন জানুন
নবম দশমে শূন্যপদের সংখ্যা ২৩,২১২। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত পুরনো চাকরিতে ফিরে গিয়েছেন ২৭০ জন চাকরিহারা। তাঁদের মধ্যে বিষয় এবং বিভাগ মিলিয়ে প্রায় ২৬০টি শূন্যপদ তৈরি করা গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা জানান, ”আমাদের মনে হয় নবম দশমের ক্ষেত্রে ২৩২১২টি শূন্যপদের থেকে খুব বেশি কমবে বা বাড়বে না।”
অন্যদিকে, ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের দাবি, দ্রুত ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। যদিও এসএসসি সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির ৩৫ টি বিষয়ে নথি যাচাই সম্পূর্ণ হয়নি। আঞ্চলিক ভাবে দু’টি বিষয় ইন্টারভিউ হবে ২৬ ও ২৭ তারিখ। অন্যদিকে, গ্রুপ সি ও ডি নিয়োগের আবেদন চলছে। একই সঙ্গে নবম দশমের ১১টি বিষয়ে নথি যাচাই করা কষ্টকর। একাদশ দ্বাদশের ভেরিফিকেশন শেষ হবে ৪ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন: ‘ভয় পাবেন না, একজনের গায়ে আঁচড় লাগলে আমার গায়ে লাগবে’, SIR বিরোধী সভায় হুঙ্কার মমতার
সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে এসএসসি-কে। তার মধ্যে যদি এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হয়। তা হলে ‘যোগ্য’ শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকরি আর থাকবে না। যোগ্য চাকরিহারা অধিকার মঞ্চের অন্যতম নেত্রী রূপা কর্মকার বলেন, ”এখনও পর্যন্ত একাদশ দ্বাদশের একটি ইন্টারভিউও শুরু হয়নি। ভেরিফিকেশন চলবে ডিসেম্বরে প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। তার আগে নবম দশমের ভেরিফিকেশন হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তাই আমরা আশঙ্কিত যে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই পুরও প্রক্রিয়ার শেষ না করলে অনেক ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীরা চাকরিহারা হয়ে বেতনহীন হয়ে পড়বেন।”
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
