যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশন এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেনি। তবে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা আগেই জানিয়েছিলেন, কমিশনের পক্ষ থেকে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার পরেও যদি দেখা যায় কোনও ‘দাগি’র নাম রয়ে গিয়েছে তা হলে তা নথি যাচাইকরণের সময় তা বাদ যাবে। সে জন্যই ইন্টারভিউয়ের আগে নথি যাচাই করা হবে বলে পর্ষদ কর্তাদের দাবি।
advertisement
গত ৩০ অগাস্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে ‘অযোগ্য’ বা ‘দাগি’ শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রথমে ১৮০৪ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। পরে আরও দু’জন ‘দাগি’র নাম প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। অর্থাৎ নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে মোট ১৮০৬ জনের ‘অযোগ্য’-এর নাম নথিবদ্ধ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এঁরা কোনও ভাবেই পরবর্তী পরীক্ষা ব্যবস্থায় যোগ দিতে পারবেন না। এরই মধ্যে গত শনিবার নবম-দশমের নিয়োগ পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হয়েছে। সেখানেও বেশ কিছু ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর নাম রয়েছে বলে অভিযোগ।
অন্য দিকে ১৮ নভেম্বর যাচাইকরণের জন্য প্রার্থীদের কোন কোন নথি নিয়ে যেতে হবে তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানালো স্কুল সার্ভিস কমিশন—
১। অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম এবং ই-ইনফরমেশন শিট। যেখানে রোল নম্বর আইডি লেখা আছে তা সঙ্গে রাখতে হবে।
২। সচিত্র পরিচয়পত্র— আধার, প্যান, পাসপোর্ট এবং জাতিগত শংসাপত্র।
৩। বিশেষ ভাবে সক্ষম বা অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে এবং প্রত্যেকটি বৈধ কাগজের স্বাক্ষর তারিখ ২১ জুলাই ২০২৫-এর আগের হতে হবে।
৪। স্নাতকোত্তরের শংসাপত্র ও মার্কশিট অরিজিনাল রাখতে হবে প্রার্থীদের।
৫। টেট পাস সার্টিফিকেট এবং কোথা থেকে এই শিক্ষক শিক্ষণের যাবতীয় নথিও আনতে হবে সঙ্গে।
৬। শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে সে সব প্রতিষ্ঠানের তরফে দেওয়া চিঠি সঙ্গে রাখতে হবে।
৭। সমস্ত নথির আসল স্ব-প্রত্যয়িত প্রতিলিপিও সঙ্গে রাখতে হবে।
