বাগ কমিটির রিপোর্ট, সিবিআই তদন্তের রিপোর্ট, আসল OMR শিট বা মিরর OMR না থাকা, এমনকি কমিশনের পক্ষ থেকে সেই কপি সংরক্ষণে ব্যর্থতা—এই সমস্ত বিষয় বিচারপতিদের নজরে আসে। আদালত জানায়, এতসব গুরুতর ত্রুটি ও অসঙ্গতি থাকার পর কোনওভাবেই রিভিউ গ্রহণযোগ্য নয়।
সকালে ক্লাস নিয়েছিলেন অঙ্কের স্যর, টিফিনের পরেই স্কুলের দু’তলার ১৮ নম্বর ঘরে তাঁর মর্মান্তিক পরিণতি!
advertisement
রেলযাত্রীদের জন্য সুখবর! ২২আগস্ট থেকে চালু হচ্ছে নতুন লোকাল ট্রেন! কোন রুটে দেখে নিন
ফলে, এই মামলায় সমস্ত রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আইনজীবী ফিরদৌস সামিম জানান—“রিভিউ খারিজ হলেও, আইনি দিক থেকে এখনও একটি পথ খোলা আছে—কিউরেটিভ পিটিশন করা যেতে পারে। তবে সেই পথেও বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে না, কারণ কিউরেটিভ পিটিশনও বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।” বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ জানায়— নিয়োগ পরীক্ষার আসল ওএমআর শিট বা মিরর কপি মিলছে না। কমিশনের সেই নথি সংরক্ষণে ব্যর্থতা মারাত্মক। উপরন্তু সিবিআইয়ের রিপোর্ট এবং বাগ কমিটির তদন্তে দুর্নীতির ছবি স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে রায় পুনর্বিবেচনার কোনও সুযোগ নেই বলেই জানায় শীর্ষ আদালত।
নিয়োগপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতি এবং একাধিক অনিয়মের অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল এসএসসির ২৬ হাজার (আদতে ২৫,৭৩৫) চাকরি বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ অনিয়মের অভিযোগে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, সঠিক তথ্য না থাকায় যোগ্য এবং অযোগ্যদের পৃথকীকরণ করা সম্ভব হয়নি। তাই পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করবে এসএসসি। দাগি বা চিহ্নিত অযোগ্যদের বেতন ফেরত দিতে হবে। তার প্রায় এক মাসের মাথায় এসএসসি এবং রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে পুনর্বিবেচনার আর্জি (রিভিউ পিটিশন) জানায়। আবেদন জানায় চাকরিহারাদের একাংশ।