মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার চরসুজাপুরের বাসিন্দা প্রশান্ত মন্ডল। প্রশান্ত মণ্ডল জানান, ডাক্তারি পরীক্ষা পাস করার পর ভেরিফিকেশন এর জন্য প্রথম ধাপে তাকে ডাকা হয় কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে সেখানে তাঁর বিশেষভাবে সক্ষমতার কারণ দেখিয়ে ডাক্তারি পড়ার অযোগ্য বলে জানানো হয়। কারণে বলা হয় হাতে স্বাভাবিক ছুরি, কাঁচি ধরার ক্ষমতা নেই তাঁর।
advertisement
এরপরই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে উচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হয় প্রশান্ত। সেখানে তাকে মুম্বাই এইমস-এ শারীরিক পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দেয় আদালত। অবশেষে মুম্বাই এইমস থেকে ডাক্তারি পড়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পায় প্রশান্ত। তবে বিশেষভাবে সক্ষম থাকার কারণে জেলাতেই ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছা রয়েছে তার বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।
এদিন সেই ছাড়পত্র নিয়ে দ্বিতীয়বারে ভেরিফিকেশনের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যায় প্রশান্ত। সেখানে সমস্ত নথিপত্র যাচাই করেন অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, ‘আপাতত তার সমস্ত নথি ঠিক আছে। তবে জাতি শংসাপত্রের সামান্য ভুল রয়েছে তা ঠিক করা হবে। তাকে আবার ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকা হয়েছে।’
এই বছর ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ছেলেকে ডাক্তার করার স্বপ্ন দেখেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। মাঝপথে এমন প্রতিকূলতা আসবে ভাবতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। তবে অবশেষে তার এই লড়াইয়ের জয়ের পর আবারও বাড়ির ছেলেকে ডাক্তার হতে দেখার স্বপ্নে বুক বেঁধেছেন পরিবারের সদস্যরা।