১০০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সঙ্গে নিয়েই গত ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন আলম। রেজাল্ট প্রকাশ হতেই স্কুলের চমকে ওঠেন সকলে, দেখা যায় স্কুলের মধ্যে প্রথম হয়েছেন মহম্মদ আলম। তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬২৫। তারপর কান্দি রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেন। এ বছর পায়ে লিখে ৪০২ নম্বর পেয়েছেন তিনি। রাজ্যে হয়তো দশের মধ্যে আসতে পারেনি, কিন্তু তাঁর এই জয়ে মুখে হাসি ফুটেছে পরিবার-সহ গ্রামের এবং কান্দি রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল শিক্ষকদের।
advertisement
যে নিজে স্নান করতে পারে না, খাবার খাওয়ার জন্য মায়ের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। বাবার ছোট্ট মুদিখানার উপর চলে সংসার। আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল না হলেও সব বাধা উপেক্ষা করেই এগিয়ে চলেছেন মহম্মদ আলম রহমান। পাশে দাঁড়ায় কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক। গত দু’বছর ধরে তিনি আর্থিকভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
মহম্মদ আলম রহমানের স্বপ্ন মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার। তাঁর বাবা ফিরোজ মহম্মদ বলেন, “একা স্কুল যেতে পারে না। সাইকেলে করে নিয়ে যেতে হয়। টোটোতে করে স্কুলে পাঠাতাম। সংসার চালিয়ে তাঁর পড়াশোনা কীভাবে চালাব সেটাই চিন্তার।” কান্দি রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভাবতে এবং বলতে খুব ভাল লাগছে প্রতিবন্ধকতা শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনও বাধা হয় না তাঁর প্রমাণ মহম্মদ আলম রহমান। তাঁর পড়াশোনায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পরিবারের আর্থিক সমস্যার কথা জানাব।” কান্দি পৌরসভার চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক জানান, আগামী দিনে আলম রহমানের পাশে থাকব। যতটুকু সাহায্য দরকার পড়াশোনার জন্য, তা আমরা করে যাব।
কৌশিক অধিকারী





