এর আগেও রাজ্য একাধিক বিভাগে কাজের জন্য স্কচ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। রাজ্যের অর্থ দফতর থেকে শুরু করে নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরও পেয়েছে এই স্কচ আওয়ার্ড। এবার রাজ্যের শিক্ষা দফতর ২০২১ সালের কাজের জন্য এই সম্মান পাচ্ছে (Skoch Award)। আজই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যকে আমন্ত্রণ জানান হল দিল্লিতে এই সন্মান নেওয়ার জন্য। মূলত বিভিন্ন ফিল্ড রিপোর্ট, বুনিয়াদি শিক্ষা, রাজ্যের শিক্ষা নিয়ে ফিডব্যাকের ওপর নির্ভর করে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন : কিছুক্ষণের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের ৮ জেলা ভাসতে চলেছে ঝড়জলে, সতর্কতা আলিপুরের
স্কচ পুরস্কার ঘোষণার খবর ট্যুইট করে শেয়ার করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তিনি ট্যুইটে জানিয়েছেন "অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, রাজ্য জাতীয় নিরিখে স্কচ স্টেট অব গভর্নেন্স পুরস্কারে সেরার শিরোপা পেয়েছে।"
এই পুরস্কারের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য শিক্ষা দফতরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতেও ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপর একটি ট্যুইটে নিজের শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন পুরস্কারের দিনক্ষণ।
প্রসঙ্গত, করোনা (Coronavirus)কালে ভাল কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ইতিমধ্যেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্কচ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে রাজ্যের শিক্ষা এবং পর্যটন দফতর। করোনার সময়ও পড়ুয়াদের জন্য ভালো কাজ করা ও শিক্ষা বিস্তারের স্বীকৃতি স্বরূপ রাজ্যের শিক্ষা দফতর পেয়েছে এই আন্তর্জাতিক পুরস্কার। রাজ্যের স্কুলশিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা দুটি বিভাগই সেরার তকমা পেয়েছে।এই মুহূর্তে শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ‘স্কচ’ পুরস্কার (Skoch Award) প্রাপ্তির খবরে অত্যন্ত খুশি রাজ্যের শিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন : অবশেষে কালীঘাটে এল সায়ন্তিকা, সঙ্গে আমসত্ত্ব আর মুখ্যমন্ত্রীর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!
সাধারণত, মন্ত্রী বা বিভাগের প্রধান ব্যক্তিগতভাবে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। ২০২০ সালে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের মাননীয় মন্ত্রী ডঃ শশী পাঞ্জা মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের হয়ে রাজ্যের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন। এবার সেক্ষেত্রে ব্রাত্য বসুর এই পুরস্কার নিতে দিল্লি যাওয়ার সম্ভাবনা আগামী ১৮ জুন।
আরও পড়ুন : 'চৌসা' আমের নাম 'চৌসা' কেন? জানেন আপনি? আসল ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন, গ্যারান্টি!
তবে এবারই প্রথম নয়। তাছাড়া শুধু রাজ্যের শিক্ষা দফতরই নয়, স্কচ গোল্ডেন পুরস্কার পেয়েছে রাজ্যের পর্যটন দফতরও। এর আগে রাজ্য সরকারের একাধিক দফতর ও একাধিক প্রকল্প আন্তর্জাতিক স্বীকতি পেয়েছে। জাতীয় স্তরেও সেরার পুরস্কার পেয়েছে বাংলা।