TRENDING:

Success Story: বাবা মা অক্ষরজ্ঞানহীন, পর পর ৮ টি সরকারি চাকরি পেয়ে বাজিমাত কৃষককন্যার

Last Updated:

Success Story: রাজস্থানের এই তরুণী আপাতত সারা দেশের কাছে এক দৃষ্টান্ত। তবে এখানেই থেমে যেতে রাজি নন তিনি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
করৌলি: বিশ্ব জুড়ে যখন বেকারত্বের আতঙ্ক, তখন একটি, দু’টি নয়, আটটি চাকরি পেয়েছেন এই তরুণী। সব ক’টিই সরকারি। রাজস্থানের এই তরুণী আপাতত সারা দেশের কাছে এক দৃষ্টান্ত। তবে এখানেই থেমে যেতে রাজি নন তিনি। রাজস্থানের করৌলির প্রিয়াঙ্কা মীনা, একের পর এক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফল হয়ে চলেছেন। গত পাঁচ বছর কঠোর পরিশ্রম আর নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াশোনা করে গিয়েছেন। তারই ফসল হিসেবে তাঁর ঝুলিতে এত সাফল্য।
পাঁচ বছর কঠোর পরিশ্রম আর নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াশোনা করে গিয়েছেন
পাঁচ বছর কঠোর পরিশ্রম আর নিষ্ঠার সঙ্গে পড়াশোনা করে গিয়েছেন
advertisement

আপাতত প্রিয়াঙ্কা ইংরেজি শিক্ষিকা। কিন্তু সরকারি চাকরির পরীক্ষায় এখনও লক্ষ্য অর্জন বাকি রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। এখনও সারাদিন স্কুলে পড়ানোর পর নিজের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, এখনও নিয়মিত পাঁচ ঘণ্টা সময় রাখেন নিজের পড়াশোনার জন্য।

২০১৬ সালে REET-তে প্রথম নির্বাচিত হন। তারপর থেকে নানা রকম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসছেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা জানান, ২০১৬ সালে চাকরি খুঁজছিলেন। তখনই জয়পুরে একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন। সেবছরই REET উত্তীর্ণ হন। এরপর প্রিয়াঙ্কা নবোদয়-এর পরীক্ষা দেন এবং নির্বাচিত হন। ২০১৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মোট আটটি সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছেন তিনি। যদিও পড়ান মাসলপুরের একটি স্কুলে।

advertisement

প্রথমে প্রিয়াঙ্কা সুযোগ পেয়েছিলেন নবোদয় টিজিটি হিসাবে। তারপরে দিল্লি টিজিটি। REET-এ সাফল্য এসেছে দু’বার। গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে কাজ করার ডাক পেয়েছিলেন কলেজে। তারপর স্কুলে পড়ানোর চাকরি বেছে নেন। ইতিমধ্যেই তিনি কলেজ শিক্ষক হিসেবে পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ পাশ করেছেন। আপাতত অপেক্ষা করছেন সেখান থেকে ডাকের। এছাড়া একবার আরএএস প্রি-তে সাফল্য পেয়েছিলেন। কিন্তু ‘মেন’-এ কিছু নম্বর কম আসে।

advertisement

কৃষক পরিবারের মেয়ের সাফল্য

করৌলির মহাবীরজি সানেট গ্রামের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কার বাবা-মা দু’জনেই কৃষক। পাঁচ ভাইবোনের সংসারে দুই বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। প্রিয়াঙ্কার বড় ভাই রেলে কাজ করেন। ছোট ভাই যোধপুরে স্কুলশিক্ষক। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘বাবা-মা লেখাপড়া শেখেননি, তাই তাঁরা শিক্ষার গুরুত্ব বোঝেন। আমাদের পাঁচ ভাইবোনকে সব সময় পড়াশোনা করার কথা বলে গিয়েছেন।’

advertisement

কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
অতিবৃষ্টিতে জলের তলায় বিঘার পর বিঘা কৃষিজমি! ক্ষতিপূরণ নিয়ে বড় আপডেট দিলেন বিডিও
আরও দেখুন

এত সাফল্যেও প্রিয়াঙ্কা পাননি তাঁর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য। তাই আপাতত তিনি ব্যস্ত সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতিতে। স্বপ্ন আইএএস হওয়া। সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া যুব সম্প্রদায়ের কাছে প্রিয়াঙ্কার অনুপ্রেরণা। তিনি বলেন, মন স্থির রেখে শুধু পড়াশোনাটা করে যেতে হবে।

বাংলা খবর/ খবর/শিক্ষা/
Success Story: বাবা মা অক্ষরজ্ঞানহীন, পর পর ৮ টি সরকারি চাকরি পেয়ে বাজিমাত কৃষককন্যার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল