মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মতোই প্রাথমিকের টেটেও কার্যত একই নিয়ম কার্যকর থাকবে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে গাইডলাইনে। গাইডলাইনে বলা হয়েছে রাজ্যজুড়ে ১৪৫৩টি পরীক্ষা কেন্দ্রে নেওয়া হবে প্রাথমিকের টেট। মোট পরীক্ষা দেবে রাজ্য জুড়ে ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩১ জন পরীক্ষার্থী। দুপুর ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মোট আড়াই ঘণ্টার হবে এই পরীক্ষা।
advertisement
আরও পড়ুন- ফিরহাদ হাকিমের কাছে বিরিয়ানি খাওয়ার আবদার মদন মিত্রের
প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এক্সটেনশন অফিসার পর্যায়ের আধিকারিকরা থাকবেন পুলিশের। প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মতই। পরীক্ষা চলাকালীন সময় জেরক্সের দোকানগুলি বন্ধ থাকবে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মতোই লাউড স্পিকার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। মোবাইল ফোন বা কোনওরকমে ইলেকট্রনিক গেজেট পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে নিয়ে যেতে পারবেন না। পর্যাপ্ত পানীয় জল ও শৌচাগারের জন্য প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে। প্রশ্নপত্র পৌঁছনোর আগেই প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়ন করতে হবে। পরীক্ষার দিনে পর্যাপ্ত পরিবহণ ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে পরীক্ষার্থীদের কোনওরকম সমস্যা না হয়।
আরও পড়ুন- কলকাতায় এক টুকরো কাতার, মেসি, নেইমার, রোনাল্ডোদের সঙ্গে পাটুলিতে গেলেই দেখা হয়ে যাবে !
স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদেরও মোতায়েন করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে যাতে কোনও পরীক্ষার্থীর যদি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স-সহ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়। অগ্নিসুরক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সতর্ক থাকতে হবে ওই দিন। পাশাপাশি পরীক্ষার দিনে যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না হয় তার জন্য বিদ্যুৎ দফতরকে বিশেষ নির্দেশ রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের। প্রত্যেকটি স্কুল কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের জানাতে হবে যাতে পরীক্ষার আগের থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি পাওয়া যায়।
পরীক্ষার দিনে ট্র্যাফিক ব্যবস্থার ওপর বিশেষভাবে নজর দিতে হবে পুলিশকে। মোট ১৬ দফা গাইডলাইন প্রতিটি জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনারকে পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যেই রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে। সূত্রের খবর, এই গাইডলাইন পাঠানোর পর জেলাগুলির সঙ্গে একটু ভার্চুয়াল বৈঠক করতে পারে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর।