স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে নড়ে চড়ে বসতে হয়েছে সরকারকে। সারা দেশ জুড়েই অভিভাবকদের তরফে সওয়াল উঠেছে কেন এতকাল ধরে বন্ধ রইবে শিক্ষার মৌলিক অধিকার! অভিভাবকরা জানিয়েছেন, দু’বছর ধরে কম্পিউটার বা মোবাইলে সেঁটে থেকে বাচ্চাদের শরীরে ভয়ঙ্কর প্রভাব তো পড়ছেই, মানসিকভাবেও একা হয়ে পড়ছে শিশুরা।
শিক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্র নিউজ ১৮-কে জানিয়েছে, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত নানা দিকপালদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন কর্মকর্তারা। কীভাবে এই কোভিড পরবর্তী সময়ে (Post Covid-19 Norms) স্কুলে পঠনপাঠন শুরু করা যায় তা নিয়ে আলাপ আলোচনাও চলছে। স্কুল খোলা হলে সেখানে কী কী বিধি অবশ্যই কার্যকরী হবে তা নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি চলছে। যদিও কবে থেকে খুলবে স্কুল তা এখনও আঁধারেই।
advertisement
আরও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গে কবে ফের স্কুলে যাবে পড়ুয়ারা? কোন রাজ্যে কবে খুলছে স্কুল কলেজ?
সারা বিশ্ব সহ ভারতে মহামারী ছড়িয়ে পড়ায় ২০২০ সালের মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশজুড়ে অচল রয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। কিছু সময় পর থেকে শুরু হয় অনলাইনে শিক্ষাদানের (Post Covid-19 Norms) চল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে ভারতের মতো দেশে যেখানে এখনও বাচ্চাদের স্কুলমুখী করতে হাতিয়ার মিড-ড-মিল সেখানে দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে শিক্ষাদান কি শিক্ষার ক্ষেত্রে বিভাজনকেই আরও স্পষ্ট করে তুলছে না? অধিকাংশ পড়ুয়ার কাছেই না রয়েছে মোবাইল না রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। আর যাদের কাছে সুযোগ রয়েছে তাঁদের শরীর ও মনে এই স্ক্রিন আবদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থা যে কী প্রভাব ফেলছে তা স্পষ্ট।
আরও পড়ুন- "স্কুল বন্ধ রেখে বেশি বিপদ ডেকে আনছেন" সরকারকে স্কুল খোলার আর্জি জানাল UNICEF
সম্প্রতি ইউনিসেফ জানিয়েছে ইউনিসেফ জানিয়েছে স্কুল বন্ধ রাখা যাবে না। সম্প্রতি UNICEF প্রকাশিত একটি ভিডিওতে তাঁরা বলেছেন, “স্কুল বন্ধ রেখে যে বিপদ হচ্ছে তা স্কুল খোলা রাখার চেয়ে ঢের বেশি।”
আজিম প্রেমজির এক প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, পড়ুয়াদের শিক্ষাগ্রহণের ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে মারাত্মকভাবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯২ শতাংশ পড়ুয়া যে কয়েকটি ভাষা শিখত, অন্তত তার মধ্যে একটি ভাষা ভুলে গিয়েছে তারা, ৮২ শতাংশ পড়ুয়াই অঙ্কে পিছিয়ে পড়ছে।